Haridwar Temple Stampede : হরিদ্বারের মন্দিরে ভক্তদের হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৭, আহত একাধিক

49

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুলাই : রবিবার সকালে হরিদ্বারের এক পাহাড়ঘেরা মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। মন্দিরে পৌঁছতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আচমকাই সেই সিঁড়িতে ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পড়ে যান, কেউ কেউ তাঁদের উপর দিয়েই উপরে উঠতে থাকেন। এর ফলেই তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা (Haridwar Temple Stampede)।

শ্রাবণ মাসে সাধারণত হরিদ্বারের মন্দিরগুলিতে ভিড় বেড়ে যায়, বিশেষ করে কানওয়ার যাত্রীদের কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। রবিবার সকালেও মনসা দেবী মন্দিরে ছিল অতিরিক্ত ভিড়। মন্দিরটি একটি উঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত, যেখানে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। সেই সিঁড়িতেই একসঙ্গে অনেক পুণ্যার্থী উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই হঠাৎ ইলেকট্রিক শকের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শুরু হয় হুড়োহুড়ি, এবং তার জেরে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

রবিবার সকালে হরিদ্বারের একটি পাহাড়ঘেরা মন্দিরে পুজো দিতে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। মন্দিরে পৌঁছতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আচমকা সেই সিঁড়িতে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নিচে পড়ে যান, আর তাঁদের গায়ের উপর দিয়েই উপরে উঠতে থাকেন অন্যরা। এই পরিস্থিতিতেই ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা।

ঘটনাস্থলেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। পুলিশ দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছে, পাশাপাশি পৌঁছেছে এনডিআরএফ-এর বিশেষ দলও। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি পুরো পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্ধার তৎপরতার নির্দেশ দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়ায় তিনি নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার।