ডিজিতাল ডেস্ক, ১১ জুন : মধুচন্দ্রিমায় স্বামীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী ও তাঁর প্রণয়ী রাজ কুশওয়া সহ চারজনকে বুধবার আদালতে পেশ করতে চলেছে মেঘালয় পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ আদালতে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তাদের পৃথকভাবে ও মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। কারণ, পুলিশের দাবি অনুযায়ী, রাজ কুশওয়া ইতিমধ্যেই হত্যার দায় স্বীকার করে বয়ান দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করবে (Honeymoon Tragedy Update)।
রাজ কুশওয়া স্বীকার করেছে যে, হত্যাকাণ্ডের সময় সোনম ঘটনাস্থলেই ছিল এবং স্বামীকে খুন হতে নিজ চোখে দেখেছে। আরও জানা গেছে, যখন খুনিরা শেষ মুহূর্তে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন সোনম তাঁদের নগদ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। হত্যার পর, নিহত স্বামীর টাকার ব্যাগ থেকেই নগদ অর্থ বের করে খুনিদের হাতে তুলে দেয় সোনম নিজেই।
ইন্দোর পুলিশের অপরাধ দমন শাখা জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তই জেরা চলাকালীন তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এসিপি পুনমচাঁদ যাদব জানিয়েছেন, তারা জেরায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম খুনের সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি হত্যায় কোনও বাধা দেননি। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ভাড়াটে যুবকরা খুন করতে রাজি না-হলে, সোনম আগেই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন।
রাজ কুশওয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, সোনম ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো ঘটনাটি নিজের চোখে দেখেছিলেন। এসিপি যাদব জানান, খুনের পর অভিযুক্তরা দেহটি গভীর এক খাদে ফেলে দেয়। পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, প্রথম আঘাতটি করে বিশাল ঠাকুর ওরফে ভিকি। যাদব জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সকলেই খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং বিস্তারিত বয়ান দিয়েছে।
পুলিশের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সোনম খুনের পরিকল্পনা প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় বিকল্পও ভেবে রেখেছিলেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাহাড়ি নির্জন কোনও সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানে সেলফি তোলার নাম করে স্বামীকে খাদের ধারে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে সেই পদ্ধতিতে স্বামী হয়তো বরাতজোরে বেঁচে যেতে পারেন—এই আশঙ্কায়, তিনি টাকা খরচ করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে চোখের সামনে খুন করানোই পছন্দ করেছিলেন।