IIM Joka Statement : জোকা ধর্ষণকাণ্ডে কী বলছে আইআইএম?

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ জুলাই : কসবার বেসরকারি আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উত্তাল কলকাতা। এবার অভিযোগ উঠেছে জোকার আইআইএম (IIM Joka)-এ। দেশের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক মহিলাকে বয়েজ হোস্টেলের ভিতরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে, এবং তদন্ত চলছে পূর্ণ গতিতে (IIM Joka Statement)।

তবে ঘটনায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় দেখা যাচ্ছে—পুলিশ সূত্রের দাবি, অভিযোগকারী মহিলা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এমনকি তিনি মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতেও রাজি নন। অন্যদিকে, তাঁর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে এ বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। এই সব মিলিয়ে ঘটনার সত্যতা নিয়ে একপ্রকার বিভ্রান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তবে এর মাঝেও জোকা আইআইএম-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কোনও রকম রেজিস্ট্রারে নাম নথিভুক্ত না করেই কীভাবে এক বহিরাগত মহিলা বয়েজ হোস্টেলের ভিতরে প্রবেশ করলেন, বা তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হল—এই নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি কৌতূহল ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আইআইএম কলকাতা ধর্ষণ-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুলল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে তারা পূর্ণ সহযোগিতা করছে। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে, অভিযোগকারী মহিলা আইআইএম-এর ছাত্রী না হলেও, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আইআইএম-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছি। আমাদের ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনায় কোনওরকম সহনশীলতা নেই। নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা দায়বদ্ধ।” তবে এই বিবৃতির মাঝেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ‘কাউন্সেলিং সেশনের’ অজুহাতে অভিযুক্ত ছাত্র ওই মহিলাকে হোস্টেলের ভিজিটরস রুমে ডেকে পাঠায়। অভিযোগ, ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানোর পরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন, এবং সেই অবস্থাতেই তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। জ্ঞান ফেরার পরে যখন তিনি প্রতিবাদ জানান, তখন তাঁকে মারধরও করা হয়, এমনটাই অভিযোগকারিণীর দাবি। এই ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৩২৩ (আঘাত) ধারায় মামলা রুজু করেছে। বর্তমানে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট ও তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, এবং ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।