India Pakistan Cease Fire : সংঘর্ষবিরতির পর নতুন ‘শান্ত’ সকালের সাক্ষী কাশ্মীরের বাসিন্দারা

5

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর কাশ্মীর কিছুটা শান্তি অনুভব করছিল। তবে শনিবার রাতের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এলাকায় আবারও হামলা চালায় পাকিস্তান। ড্রোন ও গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে কাশ্মীর। তবে আগের কয়েকদিনের তুলনায় শনিবার রাত ছিল তুলনামূলকভাবে কম আতঙ্কের। সীমান্তবর্তী অঞ্চল যেমন জম্মু, রাজৌরি ও ফিরোজপুরে সেনাবাহিনীর সতর্ক নজরদারির ফলে রাতটি নির্বিঘ্নে কাটে স্থানীয় বাসিন্দাদের (India Pakistan Cease Fire)।

শনিবার দুপুরে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়, যার পর ভারত সেই অনুরোধে সম্মতি দেয়। বিকেল পাঁচটা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও রাত সওয়া আটটায় আবার গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, উধমপুরে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর ও জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। নিরাপত্তার কারণে রাজস্থানের বারমের, জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ব্ল্যাকআউট করা হয়। অন্ধকারে ঢেকে দেওয়া হয় কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও। গুজরাটের কচ্ছেও পাক ড্রোন উড়তে দেখা যায়।

বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের হামলার পর ভারত প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ সচিব বলেন, “ডিজিএমও স্তরে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ভারতে হামলা চালিয়েছে। এটি বিশ্বাসভঙ্গ ও চুক্তির লঙ্ঘন। সেনাবাহিনী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং এর যথাযথ জবাব দিতে হবে।” শনিবার পাকিস্তান হামলার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনা তা ব্যর্থ করে দেয়। এই হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তে পাক ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ শহিদ হয়েছেন।

শনিবার রাতে কিছু জায়গায় পাক সেনার হামলার ঘটনা ঘটলেও জম্মু ও কাশ্মীর-সহ সীমান্তবর্তী অধিকাংশ রাজ্যে গুলিবর্ষণ বা ড্রোন হামলার তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বরং রবিবার সকালে পুঞ্চ, পাঠানকোট, জম্মু সিটি, আখনুর, রাজৌরি ও ফিরোজপুরে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রবিবার সকালে অমৃতসরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।

Comments are closed.