India Pakistan Tensions IAF : চলছে অপারেশন সিঁদুর, বিরাট ঘোষণা বায়ুসেনার, দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ মে : সংঘর্ষবিরতির পরও সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত। চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়ে পাকিস্তান আবারও বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি কি কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই অব্যাহত রয়েছে (India Pakistan Tensions IAF)। পাশাপাশি, সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজধানীতে সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন।
শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে আমেরিকা, যার পর দুদেশের বিদেশমন্ত্রকও বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করে। তবে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা, পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ভারতও এর উপযুক্ত জবাব দেয়। তবে পাকিস্তান এই হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে পাল্টা দাবি জানায় যে ভারতীয় সেনাই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে প্রত্যাঘাতের দাবি জোরাল হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
বায়ুসেনার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে বায়ুসেনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্ভুল ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কর্তব্য পালিত হয়েছে, যা জাতীয় স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তবে অপারেশন এখনও চলছে। তাই ভারতীয় বায়ুসেনা অনুরোধ করছে, ভুয়ো খবর বা গুজবে কান দেবেন না এবং যাচাই না করে কোনও তথ্য বিশ্বাস করবেন না।”
অপারেশন সিঁদুরের শুরু থেকেই সোশাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের একাংশে ফেক নিউজ ও ভুয়ো ভিডিওর মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই অপপ্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সেনা। পাশাপাশি, অপারেশন সিঁদুর যে এখনও শেষ হয়নি, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে ওই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।