ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুন : কিছু সময়ের জন্য অকেজো হয়ে যায় ওয়েবসাইট, তারপর মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় সব তৎকাল টিকিট! দূরপাল্লার ট্রেনের তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে যাত্রীদের প্রায়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধু অনলাইনেই নয়, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকিট পান না। অন্যদিকে, একাংশ মোটা টাকা দিয়ে ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে তৎকাল টিকিট সংগ্রহ করেন এবং নিশ্চিন্তে ট্রেনে ওঠেন। তবে এবার এই প্রবণতা বন্ধ করতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways Tatkal Ticket)। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে নতুন নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা সিস্টেমকে আরও স্বচ্ছ এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক করে তুলবে।
আইআরসিটিসি-তে ভুয়ো ইউজ়ার আইডি তৈরি করে দিনের পর দিন তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে, যা রেলের নজরে এসেছে। কালোবাজারি রুখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এবার রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইআরসিটিসি-তে যাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের ইউজার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করতে হবে। শুধুমাত্র আধার সংযুক্ত ইউজার আইডি থাকলেই যাত্রীরা তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন। এর মাধ্যমে কালোবাজারি রোধে আরও কড়াকড়ি আনা হবে।
রেল মনে করছে, নতুন নিয়ম চালু হলে তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রোধ করা সম্ভব হবে। আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক হলে একজন ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না, ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকিট কাটাও সম্ভব হবে না। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট কাটার জন্য আধার সংযোগ ব্যবস্থা চালু করবে। এর ফলে যাঁদের সত্যিই টিকিটের প্রয়োজন, তাঁরা সহজেই তা পেতে পারবেন।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ই-টিকিটের কালোবাজারি রোধে রেল ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। আইআরসিটিসি-র যেসব ইউজ়ার আইডির কার্যকলাপ সন্দেহজনক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই আইডিগুলিকে চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে. একসময় আইআরসিটিসি-তে প্রতিদিন ৬০-৬৫ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হতো। তবে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই সংখ্যা কমে দৈনিক ১০-১২ হাজারে নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩.৫ কোটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ কালোবাজারি বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।