ডিজিটাল ডেস্ক ৫জুনঃ২০২৫ সালের আইপিএল নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পঞ্জাব কিংসের মধ্যে ফিনাল ম্যাচে পঞ্জাবকে হারিয়ে ট্রফি জিতলেন বিরাট কোহলির। কোহলির ট্রফি জয়ের পরই উদ্বেলিত হয়ে ওঠে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি। অন্যদিকে, তথ্য বলছে এই ফাইনাল ম্যাচ দেখেছে প্রায় ৬৪ কোটি ৩০ লক্ষ দর্শক। এই আইপিএল শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআইয়েরই পকেট ভরিয়েছে এমন নয়। এবারের আইপিএলে আগের তুলনায় অনেকগুণ লাভবান হয়েছে জিও হটস্টারের মতো সংস্থাও। গত বছর জিও সিনেমায় আইপিএল ফাইনাল ম্যাচ দেখেছিলেন ৬০ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। আর এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে(IPL Ambani Facility)।
জিও হটস্টারে ৬৩.১৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের। এর মধ্যে ৪৬.৮২ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে ভায়াকম ১৮-এর মাধ্যমে। বাকি ১৬.৩৪ শতাংশে রয়েছে সরাসরি অংশীদারিত্ব। বিপুল সংখ্যক দর্শক এই ম্যাচ দেখায় আখেরে পকেট ভরেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের। সেদিক থেকে দেখলে বোঝাই যায় কেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কর্ণধাররা গ্যালারিতে নয়, বরং মাঠের বাউন্ডারি লাইনের পাশে বিশেষ এক সোফায় বসেই খেলা দেখেন। বাকি কর্ণঝধারদের থেকে আলাদা, আইপিএলের সময় বিশেষ সোফায় মাঠের পাশে বসার জন্য আম্বানি পরিবার বেশ সমালোচিতও হয়েছে। সাধারণত মহাতারকা কর্ণধাররা কিন্তু সকলেই স্ট্যান্ডে বসেই নিজেদের দলের হয়ে গলা ফাটান। ব্যতিক্রম শুধু আম্বানি পরিবার। যদিও এই আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধারদের তালিকায় শাহরুখ খান থেকে প্রীতি জিন্টা, কে নেই। বাকিদের ক্ষেত্রে থেকে মুম্বই সমর্থকদের জন্য এই নিয়ম ভিন্ন কেন সেই নিয়ে অনেকেরই মনে বারংবার প্রশ্ন জেগেছে।
জিও হটস্টারে ম্যাচ দেখার জন্য মানুষ এই অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন কেনে। যা থেকে উপার্জন করে রিলায়েন্স। এ ছাড়াও ম্যাচ চলাকালীন যে বিজ্ঞাপন চলে, তা থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে রিলায়েন্স। আইপিএলের ম্যাচে ১০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য সাধারণত ১৮ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা নেয় জিও। তবে, এবারের আইপিএল শুরুর আগে এক রিপোর্টে লেখা হয়েছিলও যে এবারে সেই খরচ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। আইপিএলের বিজ্ঞাপন দেখানোর খরচ যদি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে থাকে তাহলে এবারে অম্বানির আয়ও বেড়েছে অনেকগুণ। মনে করা হচ্ছিল এবারের আইপিএল দেখিয়ে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা উপার্জন করতে পারে। তবে, এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে এটা বলা খুবই কঠিন যে আসলে কত টাকা উপার্জন করেছেন মুকেশ অম্বানি। তবে, এই কথা বলাই যায় যে, আইপিএল ফাইনালে না খেলেও আসল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধারই!
বিশ্বের সবথেকে ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারগুলির অন্যতম আম্বানি পরিবার। তাঁদের এই বাউন্ডারির পাশে বসার কারণ সম্পর্কে কিন্তু বিসিসিআইয়ের তরফে কোনওদিনই কিছু বলা হয়নি।আসলে শুধু আম্বানি পরিবার নয়, বিসিসিআইয়ের তরফে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধারদেরই এই সুবিধা দেওয়া রয়েছে।শর্ত একটাই, গোটা বিষয়ে যাতে ম্যাচ বা নিরাপত্তাজনিত কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়। অর্থাৎ বাকি কর্ণধারও চাইলে বাউন্ডারির পাশে বিশেষ ব্যবস্থা করে বসতেই পারেন, কিন্তু তারা এমনটা কেউই করেন না। পাশাপাশি মাঠের কাছে বসায় ক্যামেরায় বারংবার আম্বানিদের সহজেই দেখাও যায়। তাঁদের বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাই আখেরে লাভ টুর্নামেন্টেরই হয়। প্রচারও বাডে। এই কারণেই বিসিসিআইয়ের তরফে এই বিষয়ে কোনওদিনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।