Iran Israel Conflict Arms : কোন অস্ত্রে ভাঙল ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ভেদ্য আবরণ? জেনে নিন আমেরিকার বোমার বিশেষত্ব, ভারতের কাছে আছে এই অস্ত্র?

12

ডিজিটাল ডেস্ক, ২২ জুন : আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। ভূগর্ভস্থ সেই কেন্দ্রগুলো মাটির গভীরে থাকলেও, মার্কিন বাহিনী সেগুলিকে নিশানা করেছে শক্তিশালী বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে। ব্যবহৃত হয়েছে GBU-57—একটি নন-নিউক্লিয়ার সুপার মিসাইল, যাকে বলা হয় বাঙ্কার ব্লাস্টার। কিন্তু ঠিক কেমন এই বিধ্বংসী অস্ত্র (Iran Israel Conflict Arms)?

এয়ার স্ট্রাইকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, সেখানে অন্তত ৫ থেকে ৬টি বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহৃত হয়েছে। এই শক্তিশালী বোমাগুলোর পূর্ণ নাম GBU-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর—যা আমেরিকার অস্ত্রভাণ্ডারের সবচেয়ে বড় ‘নন-নিউক্লিয়ার’ বোমা হিসেবে পরিচিত। মাটির গভীরে থাকা লক্ষ্যবস্তু, বিশেষ করে শক্তিশালী বাঙ্কার ধ্বংসে এই অস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার। ইরানে এই প্রথমবারের মতো এই বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করল আমেরিকা।

GBU-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর এক বিশাল ধ্বংসাত্মক অস্ত্র। এর দৈর্ঘ্য ২০.৫ ফুট এবং ব্যাস ৩১.৫ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড, অর্থাৎ প্রায় ১৩,৬০০ কেজি। এই বোমার অভ্যন্তরে থাকে ৫,৩০০ পাউন্ড বিস্ফোরক, যার ক্ষমতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই বোমার বিস্ফোরণে কংক্রিটের মোটা স্তর অনায়াসে ভেদ করে প্রায় ৬০ মিটার বা ২০০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করা সম্ভব। এমনকি মাটির নিচে থাকা ইস্পাত-নির্মিত বাঙ্কারও এটি ধ্বংস করতে সক্ষম—এই কারণেই এর নাম ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’। এত ভারী অস্ত্র ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয় বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান, যা একমাত্র এই ওজনের বোমা বহনে সক্ষম।

এই বোমার অন্যতম বড় শক্তি হল, এটি রাডার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সহজেই ফাঁকি দিতে পারে। প্রতিটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান একসঙ্গে দু’টি করে এই বিশাল বাঙ্কার ব্লাস্টার বহনে সক্ষম—যা তাদের ক্ষমতাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলে।

প্রসঙ্গত, ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এখন শান্তির সময়।” পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন—ইরানের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আমেরিকার নজরে রয়েছে। যদি তেহরান শান্তির পথে না ফিরে, তাহলে ভবিষ্যতের প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর ও প্রাণঘাতী হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই ‘সাহসী’ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর মতে, ইতিহাস আমেরিকার এই পদক্ষেপকে চিরদিন মনে রাখবে।