ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃসোমবার ভোরে ইরানের নতুন হামলায় ইজ়রায়েলে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী ইজ়রায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। আহত শতাধিক। তেল আভিভে ভোরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। বাদ যায়নি জেরুসালেমও। রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের হামলায় তেল আভিভে নতুন করে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। তেল আভিভে আমেরিকার দূতাবাস থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়তে দেখা গিয়েছে। সামান্য ক্ষতি হয়েছে দূতাবাস ভবনটিরও। একই সঙ্গে হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে অন্তত ৩০ জন জখম হয়েছেন বলে খবর। হাইফা বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে আগুন লেগে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ইজ়রায়েলের এই হাইফা বন্দরটির একটি ভারতের আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত। রবিবার হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। আদানিরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বন্দর এখনও সক্রিয় আছে। তবে সোমবারের হামলার পর এই বন্দরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। দেশের সকল নাগরিককে আশ্রয়ে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজ়রায়েল প্রশাসন (Iran-Israel War Continuation)।
ইজ়রায়েলের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার নতুন কৌশল বার করে ফেলল ইরান? তাদের রেভলিউশনারি গার্ড (আইআরজি) তেমনটাই দাবি করেছে। শুধু তা-ই নয়, আইআরজি-র দাবি, তাদের নতুন কৌশলে নাজেহাল হয়ে ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা-অস্ত্রগুলি একে অপরকে নিশানা করতে শুরু করেছে। আইআরজি-কে উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সোমবার ভোরে ইজ়রায়েলের দুই শহরে নতুন করে হামলা চালিয়েছে তেহরান। তেল আভিভ এবং উত্তর ইজ়রায়েলের বন্দর শহর হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষিত হয়েছে। সেই হামলার পরেই আইআরজি নতুন কৌশলের কথা বলেছে।
ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। আমেরিকার প্রস্তাবিত পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হয়নি তেহরান। এর মাঝেই শুক্রবার ইরানে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ‘চিরশত্রু’ইজ়রায়েল। তাতে ইরানের চার শীর্ষ সেনাকর্তা এবং নজন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি এর পরেই দিয়ে দিয়েছিল ইরান। তার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ জোরালো হয়েছে।