ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুন : ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ ইরানের অন্তত ছ’টি পরমাণু ও সামরিক কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। দুই শতাধিক বোমারু ও যুদ্ধবিমান নিখুঁত ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ পরিচালনার পর নিরাপদে ফিরে গেছে। তবে ইজরায়েলের উদ্বেগ এখনও কাটেনি। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন আশঙ্কা করছে যে বিমান হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশের ইজরায়েলি দূতাবাসগুলোকে নিশানা করা হতে পারে (Israel Embassy Closed)।
শুক্রবার, ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিশ্বব্যাপী তাদের সমস্ত দূতাবাস, কনস্যুলেট এবং অন্যান্য কূটনৈতিক কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, বিদেশে বসবাসকারী ও ভ্রমণে থাকা ইজরায়েলি নাগরিকদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা এবং প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেল আভিভ আরও জানিয়েছে যে কোনও অবস্থাতেই ইহুদি বা ইজরায়েলি প্রতীক প্রকাশ্যে বহন করা উচিত নয়।
বিদেশে অবস্থানরত ইজরায়েলি নাগরিকদের অবিলম্বে তাদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে তাদের বৈদেশিক মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। কূটনৈতিক (কনস্যুলার) পরিষেবাও আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো কতদিন বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক কোনো স্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি।
সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার পর পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপে ইজরায়েলি দূতাবাসগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা থেকেই নেতানিয়াহু প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা এবং দূতাবাসে যাতায়াতকারী নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও এই পদক্ষেপের অন্যতম লক্ষ্য।