ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ অগাস্ট : সিবিআইয়ের পর এবার ইডির জালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গ্রেপ্তারির পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং বিধায়ক (Jiban Krishna Arrest Update)। সোমবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সেরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সাংবাদিকরা জানতে চান, সত্যিই কি তিনি ইডির চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে চেয়েছিলেন? আবারও কি নিজের মোবাইল ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন? দু’টি প্রশ্নেরই জবাবে সাফ ‘না’ বলেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে ‘চক্রান্তের শিকার’ বলে দাবি করেন বিধায়ক।
শারীরিক পরীক্ষা শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সূত্রের খবর, ইডি বিচারকের কাছে আবেদন জানাবে যাতে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বছর দুই আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুড়ে ফেলেন বিধায়ক, যদিও তাতেও রক্ষা হয়নি।
জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিজের এলাকার বহু মানুষের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে সেই চাকরি পাইয়ে দিতেন বড়ঞার এই বিধায়ক। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁর বাড়ি থেকে সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্তি পান জীবনকৃষ্ণ সাহা।
এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে সোমবার সকালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি, আর দু’বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আবারও নিজের মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলেন বাড়ির পাশের পুকুরে। কিন্তু এবারও শেষরক্ষা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন।
এরপর ইডি আধিকারিকরা দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের দাবি, প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলা জেরার সময় একেবারেই সহযোগিতা করেননি জীবনকৃষ্ণ। সন্তোষজনক কোনও উত্তর না পাওয়ায় শেষমেশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।