Jiban Krishna Saha: ফের গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা,পালাতে গিয়ে ED-র হাতে

ডিজিটাল ডেস্ক ২৫ অগাস্টঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েও জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু জামিনে মুক্তির মেয়াদ দীর্ঘ হল না। এবার একই মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার সকালে আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে বড়ঞা থেকে সোজা কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আজই পেশ করা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে বলে জানা যাচ্ছে । সোমবার SSC-র নবম ও দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED টিম তল্লাশি চালায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। এর আগেও তিনি CBI তল্লাশির সময়ে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। আর এবার ED অফিসারদের দেখে পালানোর সময়ে বাড়ির পিছনের ঝোপে ফেলে দেন মোবাইলটি। পরে একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি। পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩ জওয়ান ধরে ফেলেন(Jibankrishna Saha)।

জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে মোট ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও ED টিম পৌঁছে গিয়েছে। সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এই মায়া সাহা । জীবন সহ জীবনের সকল আত্মীয়ের বাড়ীতেই ইডি।

এর আগেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করেছিল ED। এবারও শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তেই তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল CBI। গতবারের ক্ষেত্রেও দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছিল। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে বাড়ির পিছনদিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা।

তবে সে সময়ে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রায় এক বছর জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। ১৩ মাস পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।