JMB Terrorists Arrest : বড় পর্দাফাঁস! বীরভূম থেকে গ্রেফতার ২ JMB জঙ্গি!

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ মে: পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের নলহাটি ও মুরারইতে অভিযান চালিয়ে দুই সন্দেহভাজন JMB সদস্যকে গ্রেফতার করেছে (JMB Terrorists Arrest)। ধৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রচার, মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আজ, শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে তাদের পেশ করা হয়েছে, এবং এসটিএফ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে। বীরভূমের নলহাটি ও মুরারইতে অভিযান চালিয়ে দুই সন্দেহভাজন JMB সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের পরিচয় আজমল হোসেন (২৮), নলহাটির বাসিন্দা, এবং সাহেব আলি খান (২৮), মুরারইয়ের বাসিন্দা। তারা JMB-এর নিষিদ্ধ মডিউলের সদস্য ছিল, যার কাজ ছিল মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করা এবং রাষ্ট্রবিরোধী ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানো। তারা বিশেষ ব্যক্তিদের ও স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছিল।

আজমল হোসেন বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল এবং সেখানে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল ‘গাজাতুল হিন্দ’ আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা। ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হয়েছে, এবং এসটিএফ পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে।

ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসব বিস্ফোরক সাধারণত পাথর খাদানে ব্যবহারের জন্য মজুত করা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ।

গত ডিসেম্বর মাসে নলহাটির মধুপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এছাড়া, রামপুরহাটের হস্তিকাঁদা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ২০ হাজার ডিটোনেটর ও ১৫ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করা হয় । এমনকি, রামপুরহাটের মুনসুবা মোড় এলাকায় একটি লরিতে ৩২০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়, যার মোট ওজন ছিল ১৬ হাজার কেজি ।

এসব বিস্ফোরকের মজুতের সঙ্গে জামাত জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করেছে ।

Comments are closed.