Jobless Techers Dead body Rally : চাকরিহারা শিক্ষকের দেহ নিয়ে যেতে বাধা, দেহ নিয়ে মিছিল শুরু চাকরিহারাদের

49

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ অগাস্ট : ব্রেন স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হল ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক সুবল সোরেনের। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সুবলের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। হাসপাতালের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি মৃতদেহ বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই তালিকাতেই ছিলেন সুবল সোরেন। চাকরি হারানোর পর থেকেই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। একাধিক কর্মসূচিতে সহকর্মীদের পাশে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সুবল সোরেন থাকতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার একটি ভাড়াবাড়িতে। গত সোমবার হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে আইসিইউ না থাকায় তাঁকে দ্রুত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সুবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। টানা কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। কোমায় চলে গিয়েছিলেন বলেও হাসপাতাল সূত্রে খবর। শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকদের মতে, সুবল দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করতেন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

সুবলের স্ত্রীর অভিযোগ, চাকরি হারানোর পর থেকে মানসিক চাপে ভুগছিলেন তাঁর স্বামী। সেই কারণে মাঝেমধ্যে ওষুধ খেতেও অনীহা দেখাতেন।

সুবলের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। হাসপাতালের বাইরে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বাধাও দেওয়া হয়।

এরপরেই মুকুন্দপুর মেইন রোডে সুবল সরেনের মৃতদেহ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মিছিল (Jobless Techers Dead body Rally।