Joint Entrance Merit List : প্রকাশিত জয়েন্টের ফলাফল, মেধাতালিকায় কারা?

63

ডিজিটাল ডেস্ক, ২২ অগাস্ট : ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত জট কাটতেই প্রকাশিত হল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল (Joint Entrance Merit List)। এবারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে পার্ক সার্কাসের ডন বসকোর অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে কল্যাণী মডেল হাই স্কুলের ছাত্র সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস। তৃতীয় হয়েছে দিশান্ত বসু, আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে রুবি পার্ক দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া অরিত্র রায়।

গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে ১১৭ দিন পর প্রকাশিত হল পরীক্ষার ফল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফল সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। একই সঙ্গে অভিনন্দন জানাই তাঁদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও। যারা এবারে প্রত্যাশিত ফল পাননি, তাদের বলব মন খারাপ না করে ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুতি নাও। আইনি জটিলতার কারণে এবারে ফল প্রকাশে কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে আমি বিশ্বাস করি—তোমরা সমস্ত বাধা পেরিয়ে আগামীতেও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে এবং বাংলার গৌরব বাড়াবে।”

গত ৭ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওবিসি সংরক্ষণ ঘিরে আইনি জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। কলকাতা হাই কোর্ট ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দেয়, যার প্রভাব পড়ে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও।

২০২৪ সালের জয়েন্ট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওবিসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। বলা হয়, ২০১০ সালের আগে স্বীকৃত ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতে নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। যাঁদের শংসাপত্র ২০১০ সালের পরে ইস্যু হয়েছে, তাঁরা কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ পাবেন না—এই নির্দেশও দেওয়া হয়। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফলপ্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়েও আবেদন পেশ করা হয়।

এদিকে, মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে। তিনি স্পষ্ট জানান, সংরক্ষণ সংক্রান্ত জট না কাটলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ করা যাবে না। এই নির্দেশে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় রাজ্যের মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পরীক্ষায় বসা কয়েক লক্ষ পড়ুয়া।

পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়ে ওঠায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে হয় শুনানি। শুক্রবার, সেই শুনানিতেই কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।

এই রায়ের পরই নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩০ মিনিট আগেই প্রকাশিত হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল।

এদিকে, মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে। তিনি স্পষ্ট জানান, সংরক্ষণ সংক্রান্ত জট না কাটলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ করা যাবে না। এই নির্দেশে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় রাজ্যের মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পরীক্ষায় বসা কয়েক লক্ষ পড়ুয়া।

পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়ে ওঠায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে হয় শুনানি। শুক্রবার, সেই শুনানিতেই কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। এই রায়ের পরই নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩০ মিনিট আগেই প্রকাশিত হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল।