Junior Doctors Update : কাজে যোগ দিল আসফাকুল্লা-দেবাশিসের, যদিও রায়গঞ্জে যাচ্ছেন না অনিকেত মাহাতো

4

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩১ মে : মানুষের সমর্থন না থাকায় শেষপর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডা. দেবাশিস হালদার ও ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া (Junior Doctors Update)। সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে গ্রামে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সমাজে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়নি। বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্যদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী পোস্টিং মেনে কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনেই। এদিকে, তাঁরা আইনি পদক্ষেপও নিয়েছেন এবং নিজেদের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে জেলা হাসপাতালে পোস্টিংয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া ও ডা. দেবাশিস হালদার। শুক্রবার তাঁদের পক্ষে আইনজীবী শামিম আহমেদ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই মামলার শুনানি আগামী ৫ জুন হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় সিনিয়র রেসিডেন্টদের জন্য ‘নিয়মমাফিক’ বন্ড পোস্টিংয়ের ঘোষণা করা হয়। বেশিরভাগ চিকিৎসক সেই নির্দেশ মেনে কাজে যোগ দিলেও, ডা. দেবাশিস হালদার, ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া ও ডা. অনিকেত মাহাতো এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। নির্ধারিত পোস্টিং অনুযায়ী, ডা. অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে, ডা. আসফাকুল্লা নাইয়াকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে এবং ডা. দেবাশিস হালদারকে মালদহের গাজোল মেডিক্যাল কলেজে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে হবে।

ঘোষণার পর থেকেই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনজন। তবে শেষপর্যন্ত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. দেবাশিস হালদার জানান, “আসফাকুল্লা আর আমি কাজে যোগ দেব। সেখানকার মানুষদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তাঁদের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তনের কারণ কী? সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, দেবাশিস ও আসফাকুল্লা বুঝতে পেরেছেন যে তাঁদের কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের সমর্থন পাচ্ছে না। দেবাশিস হালদারের বক্তব্যও সে ধারণাকে দৃঢ় করে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা কাজে যোগ দিচ্ছি, যাতে এটা বোঝানো যায় যে এই আন্দোলন শুধু আমাদের নয়, এটা সাধারণ মানুষেরও আন্দোলন।” তবে, ডা. দেবাশিস হালদার ও ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া কাজে যোগ দিলেও, ডা. অনিকেত মাহাতো এখনই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে যাচ্ছেন না। দেবাশিস জানিয়েছেন, “অনিকেত কাজ শুরু না করে আইনি পথে লড়াই চালিয়ে যাবেন।”