ডিজিটাল ডেস্ক ২৪শে জুলাইঃ ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে । মৃত দুই যুবকের নাম অমল দাস (৩৭) ও বুদ্ধদেব দাস (৪৭)। সূত্ররে খবর অমলের বাড়ি কাকদ্বীপের হরিপুর জেলে পাড়ায়। বুদ্ধদেব নামখানার মৌসুনির বাসিন্দা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বুধবার গভীর রাতে একটি টোটো কাকদ্বীপ থেকে নামখানার দিকে যাচ্ছিল। জানা গেছে ওই টোটোটি অমল চালাচ্ছিলেন। বুদ্ধদেব ও তাঁর দাদা দুজনেই বসে ছিলেন ওই টোটোতে। বুধবার গভীর রাতে একটি ৪০৭ গাড়ি পিছন থেকে এসে টোটোটিকে ধাক্কা মারে। এরপরই ওই টোটো ও ৪০৭ গাড়িটি ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা নয়ানজুলিতে নেমে যায়। এই ঘটনায় তিন জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া(Kakdwip Accident News)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে একটি টোটো কাকদ্বীপ থেকে নামখানার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় এলাকার একটি পোল্ট্রি ফার্মের সামনে দ্রুতগতিতে আসা একটি ছোট ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কা মারে টোটোতে। দুর্ঘটনার জেরে দুটি গাড়িই ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। টোটোটি চালাচ্ছিলেন অমল এবং পিছনে বসে ছিলেন বুদ্ধদেব ও তাঁর দাদা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমল এবং বুদ্ধদেবের। গুরুতর জখম হন বুদ্ধদেবের দাদা।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক অমল ও বুদ্ধদেবকে মৃত ঘোষণা করেন। বুদ্ধদেবের দাদা গুরুতর জখম অবস্থায় আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরে ছোট ট্রাকের চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। তাঁর খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দ্রুতগতির কারণে ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারেন টোটোতে। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে অন্যান্য বিষয়গুলিও।