Kalain : সরকারি কার্যালয়ের কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা। কিন্তু তাঁর কড়া বার্তার যেন কোনও প্রভাবই পড়ল না কাছাড় জেলায়। বেলা ১২টায়ও ফাঁকা কালাইন ব্লক অফিস!
কালাইন ব্লক অফিসের ঘড়িতে সময় বেলা ১২টা। অফিস খোলা। অফিসের প্রতিটি কক্ষে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। কিন্তু নেই কোনও কর্মী। ভিডিও থেকে বড়বাবু বা ছোটোবাবু, কেউ নেই অফিসে। সোমবার কালাইন ব্লক অফিসের এই দৃশ্য ধরা পড়ল NKTV বাংলার ক্যামেরায়। সরকারি কাজে অফিসে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু ব্লক অফিসে কর্মী, আধিকারিককে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এই হচ্ছে বিকশিত অসমে সরকারি কার্যালয়ের কর্মসংস্কৃতি। এই ঘটনা প্রথম নয়, এটা নিত্যদিনের ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়ই বিভিন্ন মিটিং, সভা সমিতি, সাইট ভিজিটিং-এর অজুহাতে অফিসে দেখা যায় না ভিডিওকে। অন্যদিকে, অফিসের বড়বাবু, মেজবাবু, ছোটবাবুরা কার্যালয়ে আসেন নিজেদের সুবিধামতো। কখন তারা অফিসে আসবেন, সেই সময় সূচি তারা নিজেরা তৈরি করেন। এক কথায় মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে কালাইন ব্লক অফিস। তাই স্থানীয় জনগণ মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যাতে অফিসে কর্মসংস্কৃতি ফিরে আসে। সাধারণ গ্রামবাসীকে বার বার কার্যালয়ে এসে নিরাশ হয়ে ফিরতে না হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই হিমন্তবিশ্ব শর্মা সরকারি কার্যালয়ের কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিক কর্মীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় পদক্ষেপ। একই সঙ্গে কার্যালয়ে কর্মচারীদের সময় মতো না আসা নিয়েও পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কাছাড় জেলার কালাইন ব্লক অফিসে আজও প্রভাব পড়েনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের। প্রশ্ন হয়, এই সরকারি কর্মচারী, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেবে হিমন্ত সরকার?
Comments are closed.