Kaliganj Death In Politics:কালিগঞ্জে কাঠগড়ায় পুলিশ ,রাজনীতির রুটি শেখতে ব্যস্ত বিরোধীরা !

20

ডিজিটাল ডেস্ক ২৪জুনঃ দুপুরে তাঁর নবছরের মেয়ে যখন বসে ভাত খাচ্ছিল,তখনই বিজয়মিছিল থেকে তাঁদের বাড়িতে বোমা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর মৃতার শেষকৃত্য হবে বলে পরিবার সূত্রে খবর। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে অর্চনা বলেন, “যে মায়ের কোল খালি হল, তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ খোয়ালেন। এই দোষ কার? শুধু একটি ভোটের জয় উদ্‌যাপনের জন্য একটি প্রাণ চলে গেল!” পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ,অর্চনার সংযোজন, “এটা পুলিশ দেখবে না কেন ? নিশ্চয়ই ওদের গাফিলতি রয়েছে। আমি এসপিকে প্রশ্ন করেছি। ওঁকে উত্তর দিতে হবে। “মৃতার পরিবারের সাফ কথা,“পুলিশের প্রতি আমাদের কোনও ভরসা নেই। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। প্রয়োজনে সব কিছু বিসর্জন দিতেও আমি রাজি।” সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে মৃত নাবালিকার বাবা হোসেন শেখ বলেন,“ন্যায়বিচারের জন্য আমরা লড়ব। এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হোক।” এলাকার মানুষও হোসেন শেখের দাবিকে সমর্থন জানান। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক হিংসা মোলান্দি গ্রামে নতুন নয়। ৯০ এর দশক থেকেই বাম কংগ্রেস দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। ২০১১ সালের পরে তৃণমূল-সিপিআইএম সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্র হয়। ২০২২ সালে এক তৃণমূল নেতা এবং ২০২৩ সালে পুলিশ আহত হন বোমাবাজিতে (Kaliganj Death In Politics)।

ভোটে ‘উপদ্রুত’এলাকা হিসাবে পরিচিত নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার মোলান্দিতে বিজয়মিছিলের সময় কি যথেষ্ট পুলিশি নিরাপত্তা ছিল? জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অশান্তির আগাম খবর ছিল কি? এই মুহূর্তে নানা প্রশ্নে জর্জরিত রাজ্য রাজনীতি। রাজনীতির কারবারিরা জানে যে কোন সময়টা কে সদ্ব্যবহার করতে হয় তা তাদের খুব ভালভাবে চেনা পথ । যার প্রতিফলন ইতিমধ্যেই রাজনীতির ময়দানে পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে জেলার বাম এবং বিজেপি নেতৃত্ব।

কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন,‘‘পুলিশ একটি নির্দিষ্ট দলের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের সর্বাত্মক ভূমিকা না থাকলে দুষ্কৃতীদের দমন করা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।’’জেলা বিজেপি-র সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের কটাক্ষ,‘‘তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘুদের শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক এবং লেঠেল হিসাবে ব্যবহার করে। একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো পৈশাচিক কাজ করেও কী ভাবে অভিযুক্তেরা পার পেয়ে যেতে পারে, সেটাই অবাক করার মতো বিষয়।’’ উল্লেখ্য, নবছরের বালিকার মৃত্যুতে এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার কালীগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদের জয়ের খবরে উদ্বেল হয়ে ওঠেন কর্মী সমর্থকরা। এই বিজয় উল্লাসই হাহাকার ডেকে আনে হোসেন শেখের পরিবারে।