ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুন : কলকাতার কালীঘাট থানার বেণীনন্দন স্ট্রিটে ঘটল এক ভয়াবহ ঘটনা! ভরদুপুরে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সোনা-রুপোর দোকানের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের (Kalighat Murder)। বচসা থামাতে গেলে অভিযুক্ত যুবক তাঁর কিশোর ছেলেকেও আহত করেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই কিশোর আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ তৎপর।
হাওড়ার বাসিন্দা সৌমেন ঘড়া ছিলেন কালীঘাটের একটি সোনার দোকানের ম্যানেজার। সংস্কারের কাজ চলাকালীন, দোকানে রাবিশ নিতে আসে একটি মালবাহী গাড়ি। বেণীনন্দন স্ট্রিট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে ওঠার আগে, গাড়িটি স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্দীপ আগারওয়ালের দোকানে ধাক্কা মারে, যার ফলে দোকানের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। চিৎকার শুনে সৌমেন দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন, পরিস্থিতি দেখতে।
সেই সময় স্থানীয় যুবক খুনে অভিযুক্ত অশেষ সরকার ওরফে পিকলু ঘটনাস্থলে এসে চোটপাট করতে থাকেন। পিকলুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌমেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ ছুরি বার করে সৌমেনের বুকে, পেটে, ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌমেন।
অভিযুক্ত পিকুলের কিশোর ছেলে অঙ্কুর সরকার ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং বাবাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযোগ, পিকুল তখন অঙ্কুরের উপরও আক্রমণ চালায়। কোপের ঘায়ে অঙ্কুর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্ত পিকুল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহত সৌমেন ও অঙ্কুরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা হাওড়ার বাসিন্দা সৌমেনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, অঙ্কুর আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই পিকলুর বিরুদ্ধে এলাকাতে তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ আছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। সুযোগ বুঝে পিকলু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।