ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ জুলাই : আগামী ৩ সেপ্টেম্বর করম পুজো উপলক্ষে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। অর্থদপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই দিন রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত অফিস, স্কুল, কলেজ, পুরসভা ও পঞ্চায়েত কার্যালয় বন্ধ থাকবে (Karam Pujo Holiday Announcement)।
উল্লেখ্য, করম পুজোর নির্দিষ্ট কোনও তারিখ থাকে না, তাই এটি সাধারণত বার্ষিক সরকারি ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না। তাই প্রতিবছরই আলাদা করে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এবছরও সেই প্রথা মেনেই আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
তিথি অনুযায়ী পার্শ্ব একাদশীর দিনেই অনুষ্ঠিত হয় করম পুজো। এই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্রায় এক সপ্তাহ আগে। কংসাবতী নদীর চর থেকে বিশেষভাবে মাটি সংগ্রহ করে তাতে বিভিন্ন শস্যবীজ রোপণ করেন মহিলারা। দিন কয়েকের মধ্যেই সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা গজিয়ে ওঠে। করম পুজোর দিন সেই অঙ্কুরিত চারাগুলিকে তুলে বিশেষ রীতি অনুযায়ী পুজো করা হয়। এরপর চলে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান ও লোকাচার। কুড়মি সম্প্রদায়ের পাশাপাশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন, যা এক আনন্দঘন সামাজিক মিলনের রূপ নেয়।
আদিবাসী অধ্যুষিত ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে করম উৎসব পালিত হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। রাঢ় বাংলার পুরুলিয়া ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। ভাদ্র মাসের এই করম ও ভাদু উৎসবকে ঘিরে বাংলায় শুরু হয় উমার আগমনের পূর্বসুর। এক অর্থে করম উৎসবই বঙ্গে শারদোৎসবের আবহ তৈরি করে দেয়। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো রাজ্য সরকার করম পুজোর দিন পূর্ণদিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করে, যা এই উৎসবের সামাজিক গুরুত্বকে আরও প্রতিষ্ঠা করে।