Kasba BJP Protest : গড়িয়াহাটে কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ! প্রিজন ভ্যানে তোলা হল সুকান্তদের
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ ডেস্ক : শনিবার গড়িয়াহাট মোড়ে কসবা ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে আয়োজিত ছিল একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি, নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়ায়, যেখানে অভিযোগ উঠেছে—পুলিশ বাধা দেয় এবং তা থেকে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। বিজেপির অভিযোগ, তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, এমনকি সুকান্ত মজুমদারকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় (Kasba BJP Protest)। এই পরিস্থিতির জেরে এলাকায় প্রচণ্ড যানজট তৈরি হয়, যার ফলে দুপুরে অফিসফেরত এবং স্কুলফেরত নিত্যযাত্রীদের চরম অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।
কসবার একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত তিন জনের তৃণমূল-যোগ প্রকাশ্যে আসার পর ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শনিবার দুপুরে রাজপথে নামে বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, গড়িয়াহাট এলাকায় পৌঁছনোর আগে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকায়। সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করায় উত্তেজনা ছড়ায়, শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা। এরপর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার জন্য সরাসরি রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, “আমরা কোনওভাবে আইন ভাঙতে যাইনি, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। অথচ পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে।” এরপর তিনি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধিক্কার স্লোগান দেন এবং ধর্ষণের ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের দায় ঠেকান। সুকান্তর বক্তব্য, “একটি নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে”—এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।