Kasba Gangrape Case:‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য, দলের রোষে কল্যাণ ও মদন ! মহুয়ার কটাক্ষে বিদ্ধ তৃণমূল সাংসদ,বিধায়ক

12

ডিজিটাল ডেস্ক ২৯জুনঃ কসবা গণধর্ষণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের রোষে তৃণমূলের দুই নেতা। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্যকে দল সমর্থন করছে না বলে বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মন্তব্য তাঁদের একান্ত ‘ব্যক্তিগত’ বলে ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিয়েছে। দুই নেতার মন্তব্যেরই কড়া নিন্দা করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের নাম উল্লেখ না করেই তাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তৃণমূলের এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মহুয়া মৈত্র লিখেছেন,” ভারতে নারীদের প্রতি ঘৃণা দলীয় গণ্ডির বাইরে। তৃণমূল কংগ্রেসকে অন্যান্য দল থেকে আলাদা করে তোলে এটাই অর্থাৎ, আমাদের দল এই ঘৃণ্য মন্তব্যের নিন্দা করে, তা যেই করুক না কেন।” তবে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘X-তে তৃণমূল কংগ্রেসের করা পোস্টের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত নই। দল কি পরোক্ষভাবে সেই নেতাদের সমর্থন করছে যারা এই অপরাধীদের রক্ষা করছে?’

গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা আইন কলেজের গার্ড রুমে আটকে রেখে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে(Kasba Gangrape Case)। অভিযোগকারিণী নিজেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। এরপরই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র এবং কলেজের দুই বর্তমান পড়ুয়া জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় কলেজের এক নিরাপত্তা রক্ষীকেও। নির্যাতিতার অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভানেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি হাতজোড় করেও রেহাই পাননি। গোটা রাজ্য আরেকবার দেখতে পায় নৃশংসতার ছবি। এই বর্বরচিত ছাপ গত বছরেই ঘটে যাওয়া আরজিকর হাসপাতালের ঘটনাকে উস্কে দিল ফের।

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “একজন ছাত্রীকে যদি তার সহপাঠীরা রেপ করে থেকে দুঃখের খবর আর কি হতে পারে।” এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দল পড়ে যায় অস্বস্তিতে। তার রেশ কাটার আগেই শনিবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “কসবার এই ঘটনায় মেয়েদের কাছে, পড়ুয়াদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। যদি চেনা-পরিচিত কেউ ডাকে, যেদিন কলেজ বন্ধ, পরীক্ষা চলছে, ইউনিটের কিছু বানিয়ে দেবে, যেও না, ভালো হবে না। মেয়েটি ওখানে না গেলে এই ঘটনা ঘটত না। যদি যাওয়ার সময় কাউকে বলে যেত, ২ জন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে যেত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। যে এই নোংরা কাজ করেছে, সে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।” যদিও এরপর দোষীর কড়া শাস্তির দাবি করেন তিনি।