Kasba Rape Case : কসবা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য! নির্যাতিতার চিৎকারে ছুটে আসা রক্ষীকে গুলির হুমকি মনোজিতদের!

12

ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুলাই : নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে গার্ড রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীকে সেদিন গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল মনোজিৎ ও তার সঙ্গীরা (Kasba Rape Case)। সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় এই তথ্যই দিয়েছেন।

কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত চার অভিযুক্তকে শনিবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, তাদের বয়ানে একাধিক অসংগতি ধরা পড়েছে। অভিযোগ, নির্যাতিতাকে গার্ডরুমে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। সেই চিৎকার শুনেই ছুটে যান এক নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনাটি জানতে চাইলে অভিযুক্ত মনোজিত, জায়েব ও প্রমিত তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে এবং অতিরিক্ত প্রশ্ন করলে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয়। এই হুমকির প্রেক্ষিতে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ঘটনাস্থলে কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেখা গিয়েছিল কি না। এদিকে, সাউথ কলকাতা কলেজের আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি ২৫ জুন সকালের ডিউটিতে ছিলেন এবং বিকেল ৪টায় ডিউটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রাত ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত কলেজেই ছিলেন। ওই সময়ে তিনি কাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন বা ধৃত পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, মনোজিত, জায়েব ও প্রমিত বারবার তাদের বক্তব্য পাল্টে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এমনকি ঘটনাস্থলে পুনর্গঠন চলাকালীনও তারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই কারণেই গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার করতে ধৃতদের একত্রে বসিয়ে টানা জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইউনিয়ন রুমের বাথরুম এবং গার্ড রুমে নির্যাতিতাকে ভয় দেখিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করে মনোজিত। অভিযোগ, সে কিছু প্রভাবশালীর নাম করে হুমকি দেয়, বলেও যে ওই ব্যক্তিদের কথায় কলেজ থেকে বহিষ্কৃত করা হতে পারে। গার্ড রুমে নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল জায়েব ও প্রমিত। নির্যাতিতা বাধা দিলে, তারা শারীরিক নির্যাতন শুরু করে এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে—”দাদা যা বলছে চুপচাপ শুনো, না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকলে অভিযুক্তরা বিষয়টি অনুধাবন করে ওই রাতে কলেজ গেট খুলে দেয় যাতে তরুণী নিজে থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যদি তার শ্বাসকষ্ট না শুরু হতো, তবে মনোজিতের পর জায়েব ও প্রমিতও নির্যাতনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি দেখে তারা পিছিয়ে আসে।