Kasba Rape Head Injury : ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্যাতিতার মাথায় আঘাত করে মনোজিৎ?

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র প্রথমে ইউনিয়ন রুমের শৌচাগারে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং বাধা পেয়ে নির্যাতিতার মাথা দেওয়ালে আঘাত করতে চায়। পরে, গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে আবার আঘাত করে তাঁর মাথা বিছানার কাঠামোয় ঠুকে দেয়। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, এই ধরনের আঘাত ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারত (Kasba Rape Head Injury)।

পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নির্যাতিতাকে জোর করে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেই সময় নির্যাতিতা বাধা দিলে, তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাথায় আঘাত করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি দেওয়ালে তাঁর মাথা ঠুকে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে জানা গেছে। পরে, গার্ড রুমে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে ফের নির্যাতন চালানো হয়।

আক্রমণ চলাকালীন নির্যাতিতা প্রতিরোধ করেন এবং আবারও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাঁর মাথা গার্ড রুমের বিছানায় ঠুকে দেওয়া হয় ও সরাসরি মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিছানায় গদি থাকায় আঘাত মারাত্মক না-ও হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্ত ওই সময় একটি হকিস্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা করে, যা আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারত। এই গুরুতর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ধারায় মামলা রুজু হয়েছে এবং পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা।

ঘটনার পর মনোজিৎ মিশ্র বুঝতে পারে, কসবা থানায় তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা হতে চলেছে। সেই সময় তিনি এক পরিচিত আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কীভাবে মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি জবানবন্দিতে জানান, গার্ড রুমে নির্যাতনের ঘটনার পরে তিনি ঘরে মাত্র একবার প্রবেশ করেন। বিছানায় তিনি না ঘুমিয়ে পুরো রাত বাইরে কাটিয়ে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুমের তছনছ অবস্থা দেখতে পায়, যা নির্যাতিতার বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। এর ভিত্তিতে তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ নষ্ট হয়নি। পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত মনোজিৎ আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েছিল, সন্ধ্যায় বা রাতে তাঁর পরিচিত ও বন্ধুরা ইউনিয়ন ও গার্ড রুমে এসে মদ্যপানের আয়োজন করতে পারে। তাই রেজিস্ট্রার খাতায় যেন তাদের কারও নাম না লেখা হয়—এমনও নির্দেশ ছিল। সেই রেজিস্ট্রার খাতা এখন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।