Kasba Rape Lawyers Letter : আইন কলেজে গণধর্ষণ! প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি আইনজীবীদের
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ জুন : কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার সরব হলেন রাজ্যের একাধিক বিশিষ্ট আইনজীবী। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠির মাধ্যমে তাঁরা উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে নির্যাতিতার ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করা যায় (Kasba Rape Lawyers Letter)।
আইনজীবীদের একাংশ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, এবং তাঁদের প্রস্তাব— তদন্ত পরিচালিত হোক একজন প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে, যাতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় থাকে। পাশাপাশি, যেসব পুলিশ আধিকারিক এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাঁদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীরা চেয়েছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক।
চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে, “এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই সঠিক তদন্ত ও নির্যাতিতার সুবিচার নিশ্চিত করতে মামলাটি সিবিআইয়ের মতো স্বাধীন সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া একান্ত জরুরি।”
শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছে আইনজীবীদের চিঠি। এখন অপেক্ষা প্রধান বিচারপতির নির্দেশের। আইনজীবীদের আশা, অতি শীঘ্রই মামলাটি উচ্চ আদালতের নজরে আসবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে নির্যাতিতার সুবিচারের স্বার্থে।
কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্ত হিসেবে এবার গ্রেফতার করা হয়েছে কলেজেরই নিরাপত্তারক্ষীকে। এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে—মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র, এবং কলেজের দুই বর্তমান ছাত্র, জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভানেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি বারবার অনুরোধ করে হাতজোড় করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ।