ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ জুন : কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সকালে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। প্রমিতকে নিয়ে হাজির হয় তদন্তকারী দল (Kasba Rape Update)। সকাল থেকেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষ তদন্তকারী দল দীর্ঘ সময় ধরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘পি’ নামের ওই অভিযুক্ত এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন—শান্ত স্বভাবের, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠতে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
তল্লাশির সময় ধৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে অনুমান। ধৃতকে গাড়িতে তোলার সময় এলাকায় ভিড় জমায় বহু স্থানীয় মানুষ। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলেন, “যদি সে সত্যিই দোষী হয়, তাহলে তার শাস্তি হোক উদাহরণযোগ্য।” তবে ধৃতের পরিবারের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজে ধৃত ‘পি’-র উপস্থিতি স্পষ্ট ধরা পড়েছে, যা তদন্তের দিকনির্দেশে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ধর্ষণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (‘এম’), যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে কলেজের দুই ছাত্র জইব আহমেদ (‘জে’) ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় (‘পি’)। চতুর্থ ব্যক্তি কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী, যিনি নির্যাতিতার অভিযোগপত্রে ‘নির্বিকার’ ও ‘অসহায়’ ভূমিকার জন্য চিহ্নিত হয়েছেন। শনিবার নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থল কলেজে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত ছাত্রদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে সিট-এর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা সাব-ইনস্পেক্টরও, যাতে তদন্তে সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকে।