ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ মে : সারা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ জন, যার মধ্যে ৪ জন কলকাতার বাসিন্দা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। বৈঠকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয় (KMC On Corona)।
অতীন ঘোষ জানান, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বছরভর অভিযান চলতে থাকে, এবং এবার করোনা সংক্রমণ নিয়েও অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে শহরে ৮০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, এবং ৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে কারও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের প্রতিটি এলাকায় পুরকর্মীরা নজরদারি চালাবেন। পাশাপাশি, মুখে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ কোভিড বিধি মেনে চলার বিষয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করা হবে। এছাড়া, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সচেতনতার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯ মে পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে ২৪ মে শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭, এবং রবিবার রাতে তা ১১তে পৌঁছয়। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ১৪-তে পৌঁছেছে। আক্রান্তদের মধ্যে সকলেরই কমবেশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সারা দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে, বিশেষত মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, কেরল, তামিলনাড়ু ও দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে। মহারাষ্ট্রে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, কোভিডের দুটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7 শনাক্ত হয়েছে, যা ওমিক্রন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের পরীক্ষায় এই দুই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত হালকা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যেমন মাথা ব্যথা, গলা খুসখুস, জ্বর, সর্দি, পেটব্যথা বা পাতলা পায়খানা। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.