KMC Pollution Control : দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের সেরার স্বীকৃতি পেল কলকাতা পুরসভা

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুন : পরিবেশ দিবসে মা-মাটি-মানুষ সরকারের নেতৃত্বে তিলোত্তমার গর্ব আরও এক ধাপ উজ্জ্বল হলো। দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সেরা হিসেবে কলকাতা পুরসভা স্বীকৃতি পেয়েছে (KMC Pollution Control)। বিরোধীদের সমালোচনা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার এই সাফল্য মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সামাজিক মাধ্যমে এই গর্বের অর্জন সম্পর্কে জানিয়েছেন।

কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান যে পরিবেশ উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতাকে মোট ২০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে—যার মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকা মূল প্রকল্পের জন্য এবং ১৭ কোটি টাকা উৎসাহ ভাতা হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ বৃক্ষরোপণ, জঞ্জাল সাফাই, এবং বায়ুমণ্ডলের গুণমান বৃদ্ধির মতো পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। নাগরিকদের সচেতন করতে মেয়র আহ্বান জানান—“যত প্রাণ, তত গাছ” লাগানোর উদ্যোগ নিতে। তিনি আরও বলেন, শহরে বড় গাছ লাগানোর জায়গা কমলেও বহুতল ভবনের ব্যালকনি, ছাদ, কিংবা বারান্দায় টবে গাছ রোপণ করা সম্ভব। পরিবারে সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী অন্তত কিছু গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।

কলকাতা মহানগরীর দূষণ নিয়ে বিরোধীদের নানা সময়ে তোলা অভিযোগ এবার খণ্ডন করল বাস্তবতা। বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতার পরিবেশ সংরক্ষণে পুরসভার কার্যকরী ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরসভার সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই খবর জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি রাজ্য সরকার ও পুরসভার ধারাবাহিক পরিবেশ সংরক্ষণ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে গত কয়েক বছর ধরে একাধিক সফল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ফলে এই সম্মান অর্জিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বরাদ্দ ও উৎসাহভাতা পাওয়া আজ অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত।”

টাউন হলের কর্মসূচিতে মেয়র ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান’ ঘোষণা করেন। কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে কলেজ স্কয়ার পর্যন্ত নানা স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, ভারতের মধ্যে প্রথমবার ‘কার্বন ক্রেডিট’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দেওয়া হবে—কোনো এলাকায় কার্বনের পরিমাণ কত এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই উদ্যোগ পরিবেশ সুরক্ষায় শহরের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করবে।