Konnagar Cooperative Election : ৬৩ বছর পর কোন্নগরের নবগ্রাম সমবায় নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল

18

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ জুন : কোন্নগরের নবগ্রাম সমবায় ব্যাঙ্কে ৬৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো নির্বাচন (Konnagar Cooperative Election)। এই নির্বাচনে সিপিএম পুরোপুরি পরাজিত হয়ে যায়, আর তৃণমূল সমস্ত ৫৬টি আসনে জয় লাভ করে। বিজয়ের আনন্দে তৃণমূল কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন, এবং গোটা এলাকায় উৎসবের আবহ।

নবগ্রাম কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের জয় নিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন দাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সিপিআইএম এই ব্যাঙ্কে নির্বাচন করতেই দিত না। এবার প্রথমবার নবগ্রামের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন।মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথে আস্থা রেখে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুলভাবে বিজয়ী করেছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল আবারও প্রমাণ করে দিল, মানুষ উন্নয়নের পাশেই আছেন।”

উত্তরপাড়া-শ্রীরামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “সিপিএম আগে নিজেদের ক্ষমতা খাটিয়ে এখানে ভোটই করতে দিত না। তাই এতদিন নির্বাচনই হয়নি। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সেই কারণে এবার শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। মানুষ শান্তিতে ও উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন, এবং তারা উন্নয়নের স্বপক্ষে রায় দিয়েছেন। এই জয় আসলে মানুষের জয়।” একই বক্তব্য নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের কণ্ঠেও শোনা গেছে। তাঁর মতে, “মানুষ উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছেন, আর এই জয় সেই সিদ্ধান্তেরই প্রতিফলন।”

সমবায় নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। তাঁদের দাবি, ভোট শুরু হতেই তৃণমূল কর্মীরা বুথ ঘিরে ফেলে, দরজা আটকে ভোটারদের বাইরে রেখে ভিতরে ছাপ্পা ভোট দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে নৈটি রোড অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক অর্ণব দাস অভিযোগ করে বলেন, “সকালে তিনটি স্কুলের সব বুথ দখল করে তৃণমূল। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। ভোটের নামে প্রহসন চলছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বামপন্থীদের পক্ষে রায় দিয়েছে, যা তৃণমূল মেনে নিতে পারছে না। সে কারণেই তারা ভোট লুট করছে।” তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, “সিপিএম এতদিন নিজেরাই ভোট করতে দেয়নি। আগে তারা বলুক এত বছর ধরে কেন নির্বাচন হয়নি? এবার ভোট হতে পেরে তারা হেরে যাবে জেনেই ভোট লুটের মিথ্যা অভিযোগ করছে। মানুষ তৃণমূলের পক্ষে ছিল, আছে এবং থাকবে।” নির্বাচনের এই ঘটনাকে ঘিরে দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।