Landslide And Water Surge Wash In Uttarkashi: ভয়াল উত্তরকাশী, বিধ্বংসী হড়পা বানে ভস্মীভূত ধারালি সহ একাধিক সেতু
ডিজিটাল ডেস্ক ৭ই জুলাইঃ উত্তরাখণ্ডের গঙ্গওয়ানির কাছে ভয়ংকর ধস আর প্রবল জলের তোড়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেল একটি পাকা সেতু। প্রায় ৫০ মিটার লম্বা ওই কংক্রিটের সেতু ভেঙে পড়ায় ধারালি ও হর্ষিলের মতো দুর্গম শহরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যে সেতুটি একসময় উপত্যকার গর্ব ছিল, এখন সেখানে শুধুই ধ্বংসস্তূপ আর কংক্রিটের চাঁই। মঙ্গলবারই উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রলয়-রূপ ধারণ করে পাহাড়ি নদী ক্ষীরগঙ্গা। হড়পা বানে কার্যত ধুয়ে সাফ হয়ে যায় ধারালি নামের একটি গ্রাম। কাছেই হর্ষিল সেনাছাউনির ১১ জন সেনাকর্মী নিখোঁজ হন (Landslide And Water Surge Wash In Uttarkashi)। সকলেই তীর্থযাত্রী বলে জানা গিয়েছে।
সেতু ভেঙে পড়ার ফলে গোটা অঞ্চল কার্যত থমকে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে,ক্ষতিগ্রস্ত ওই রাস্তা মেরামত করে ফের চালু করতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে। তবে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে রয়েছেন কি না তা দেখা হচ্ছে। উত্তরকাশীর বিপর্যস্ত ধারালি গ্রাম থেকে বুধবার ১৩০ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গতকালকের দুর্যোগের পর একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, জলের তোড়ে বাড়ি, হোমস্টে,দোকান ভেসে গিয়েছে। ধারালির একটা গ্রামের প্রায় অর্ধেক জলের তলায়। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ। এমনকী হেলিকপ্টার পর্যন্ত ল্যান্ড করতে পারছে না।
দেরাদুনের স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। এছাড়া নৈনিতাল, তেহরি, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, আলমোরা বা বাগেশ্বর জেলা কার্যত অবরুদ্ধ। উত্তরাখণ্ড জুড়ে অন্তত ১৬৩টি রাস্তা বন্ধ। তার মধ্যে আছে পাঁচটি জাতীয় সড়ক ও সাতটি রাজ্য সড়ক। রাজধানী দেরাদুন থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের দুটি সীমান্তবর্তী সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গমস্থানে উদ্ধারকার্য চালাতে আরও সমস্যা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাটি ঘটেছে অত্যন্ত ভয়াবহ গতিতে। হঠাৎ করেই ধস ও জলের ভয়ানক তোড় নেমে আসে উপত্যকায়। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। এই সেতু দিয়ে উত্তরকাশী থেকে হর্ষিল এবং ধারালি যাওয়া যেত। পাশাপাশি, ভাটওয়ারিতে রাস্তাও বন্ধ হয়ে আছে। ফলে যাতায়াতের উপায় এখন শুধুমাত্র আকাশপথ। এদিকে, ইতিমধ্যেই বহু মানুষ জড়ো হয়েছেন সেতুর ধারে। তাঁদের অনেকেই চেষ্টা করছেন কোনওভাবে ভাঙা সেতুটি পেরিয়ে যদি ধারালিতে পৌঁছন যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে আকাশপথে উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর।