Rooftop Restaurants closed by KMC : বন্ধ হচ্ছে শহরের ৮৩ নামী রুফটপ রেস্তরাঁ, আপনার পছন্দের রেস্তরাঁ নেই তো এই তালিকায়?
কলকাতা, ৩ মে: কলকাতা শহরের ৮৩টি রুফটপ ক্যাফে ও বার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা (Rooftop Restaurants closed by KMC)। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরসভাকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা পাঠানো হয়েছে, যার ভিত্তিতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়া হবে বলে পুরসভা স্পষ্ট জানিয়েছে।
এগুলি হলঃ-
1. পার্ক স্ট্রিট এলাকার সাতটি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ। রয়েছে দ্য স্কাই স্টোরি, রুটস, আউরিস হোটেল অফ ফোর, দ্য গোল্ডেন পার্ক, ড্রাঙ্কেন টেডি, স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড, এলএমএনওকিউ।
2. শেক্সপিয়র থানা এলাকার ৮টি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ। রয়েছে হ্যাশট্যাগ, সোল, অলটেরা, দ্য অ্যাসটোর, পার্ক স্ট্রিট সোশাল, কিউ এআই কিউ এআই, দ্য লর্ডস অ্যান্ড ব্যারনস, ইটিং হাউস কাম রেস্তরাঁ।
3. ভবানীপুর থানা এলাকার তিনটি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে ক্লাউড ট্যাভেরন, ক্লাব কলকাতা মিক্সটেপ, রোমানিয়া কানহা কনফেকশনারি।
4. টালিগঞ্জ থানার অধীনে থাকা ‘নমনস ইন’ এবং ‘ক্যালোরি এইচআইসি’ রেস্তরাঁ-সহ শহরের একাধিক জনপ্রিয় রুফটপ ক্যাফে ও বার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
5.নিউ আলিপুরের ‘জায়কা’, চেতলার ‘রুফটপ’, বেলেঘাটার ‘কিচেন কিউ স্পেশালিটি’, ট্যাংরার ‘কলকাতা ৪৬’, বড়বাজারের ‘মিস অলিভ’, গিরীশ পার্কের ‘ক্যাফে সিক্সটিনথ এয়ার কাসা’, হেয়ার স্ট্রিটের ‘মাইট কুইনস বার’, নিউ মার্কেটের ‘ব্লু অ্যান্ড বেয়ন্ড’, আনন্দপুরের ‘মনজিলাত’, প্রগতি ময়দানের ‘লা ফেলিস’, যাদবপুরের ‘স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড’ ইতিমধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ পেয়েছে।
6. গরফার ‘স্টেমিন মাগস’, ‘জাফরান বার’ ও ‘স্পাইস অফ জয়’-এর পাশাপাশি নেতাজি নগরের ‘আফটার নাইন বার’, ‘টি কে কে রেস্তরাঁ’ ও ‘রাজ রেস্তরাঁ’-কেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রেস্তরাঁ বন্ধ হচ্ছে কসবা থানা এলাকায়— মোট ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে ‘ভিভান্ত’, ‘সিংজি ধাবা’, ‘লা ফ্লেম’, ‘এইচ টু ও নভেলটি অফ ৩৮৭’, ‘চিনি কম’, ‘মিস চিলিস’, ‘মিস সেন হোটেলস’, ‘এশিয়া কিচেন’, ‘হপ্পিপোলা’ ও ‘জারা’।
এছাড়া বেহালার ‘ফ্রিকশন ক্যাফে’ ও ‘হোটেল রয়্যাল হাইট’-সহ পর্ণশ্রীতে তিনটি, বেনিয়াপুকুরে দুটি, তোপসিয়ায় তিনটি, বালিগঞ্জে পাঁচটি, গড়িয়াহাটে তিনটি, তিনজলায় একটি রুফটপ ক্যাফে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
লেক থানা এলাকার একটি, কড়েয়ায় পাঁচটি, রবীন্দ্র সরোবর অঞ্চলের ছ’টি, এনপিপিএসের একটি, ওয়াটগঞ্জের দুটি এবং রাজাবাগানের একটি রুফটপ রেস্তরাঁর বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বড়বাজারের মেছুয়া হোটেলে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের ছাদে ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন। একই সুরে শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কোনওভাবেই ছাদ কিংবা সিঁড়ি আটকে ব্যবসা চালানো যাবে না। এই নির্দেশ মেনে পুর কমিশনার এক বিশেষ সার্কুলার জারি করেন।
এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলি যৌথভাবে শহরজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৮৩টি বহুতল চিহ্নিত করে, যেখানে ছাদে অবৈধভাবে রেস্তরাঁ, বার বা ক্যাফে চালানো হচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ছাদে টিনের শেড ও থার্মোকলের ছাউনির নিচে চলছে এসি চালিত খাবারের দোকান। অনেক সময় ছাদে ওঠার সিঁড়িতে রাখা থাকছে গ্যাস সিলিন্ডার, জলের জার বা প্লাস্টিকের স্তূপ, যা অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। এই সব ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মাথায় রেখেই এবার শহর জুড়ে ছাদে চালু থাকা রেস্তরাঁ, বার ও ক্যাফেগুলিকে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.