ডিজিটাল ডেস্ক ১জুনঃ কসবার ল কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় দেশজুড়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলও এক্ষেত্রে বারবার দোষীদের শাস্তির দাবিতেই সরব হয়েছে। তবে সম্প্রতি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিষয়টি দলের নজরে আসতেই, ২৯ জুন শোকজ করা হয় মদনকে। মঙ্গলবার সেই শোকজের উত্তর দিলেন তিনি(Madan Mitra On Kasba)।
সূত্রের খবর,তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে হোয়াটসঅ্যাপে শোকজের উত্তর দিয়েছেন মদন মিত্র। সেখানে তিনি বলেছেন, “দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আজীবন অনুগত থাকব। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তৃণমূল কংগ্রেসই থাকব। দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেই সারা জীবন কাজ করে যাব।”
ঘটনার সূত্রপাত কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায়। অভিযোগ, আইনের এক ছাত্রীকে ফাঁকা ক্যাম্পাসে গণধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যমে মদনের মন্তব্য ছিল, ‘‘ওই ছাত্রী একা কেন কলেজে গিয়েছিলেন? কয়েকজন বন্ধুবান্ধব সঙ্গে নিয়ে গেলে, বা কাউকে জানিয়ে গেলে হয়তো এমনটা ঘটত না। অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’’
এই মন্তব্য সামনে আসতেই তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। শনিবার রাতেই দল স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মদনের বক্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’, এবং দল এমন মন্তব্য সমর্থন করে না। রবিবার সুব্রত বক্সীর সই করা শোকজ চিঠি পৌঁছয় মদনের কাছে। যেখানে বলা হয়, এই মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এবং এটি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল।
শোকজের জবাবে মদন ক্ষমা চাইলেও,তাঁর বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক এবং সামাজিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, এমন সংবেদনশীল ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন প্রবীণ বিধায়কের মন্তব্য আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।
তৃণমূল এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর সকলের। কেননা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও একবার দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার প্রশ্ন উঠে এসেছে।