Madan Mitra On Kasba Rape : ফের বিস্ফোরক মদন! কসবাকাণ্ডে এ কী বললেন মদন?

37

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ জুন : কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্ত হিসেবে এবার গ্রেফতার করা হয়েছে কলেজেরই নিরাপত্তারক্ষীকে। এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে—মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র, এবং কলেজের দুই বর্তমান ছাত্র, জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভানেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি বারবার অনুরোধ করে হাতজোড় করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে NKTV বাংলার ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra On Kasba Rape)। যদিও তার মন্তব্যের শুরুতে তিনি দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করেন। কিন্তু ঠিক তারপরই তিনি তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নির্যাতিতার উদ্দেশ্যে বলেন যে দোষীদের চিনেও কেন প্রলোভনে পা দিলেন তিনি? একা কেন গেলেন? বন্ধুদের নিলেন না কেন? মা বাবা কে নিলেন না কেন সঙ্গে? তৃণমূলকে জানালেন না কেন? মদনের মতে ফাঁকা কলেজে যাওয়াও উচিত হয়নি তার?

তিনি আরও বলেন যে অন্য মেয়েদেরও এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

পাশাপাশি তার দাবি তৃণমূল কর্মীরা নিরাপত্তা দেবে সকলকে। অভিযুক্তরা কি দলের নেতা? এই প্রশ্নের উত্তরে মদনের সাফ জবাব দলের নেতা হয় না সকলে, দলের সাথে যোগাযোগ থাকলেই নেতা হয় না সকলে।

মদনের এই মন্তব্যে বার বার একই প্রশ্ন উঠে আসে যে এই মানসিকতা থাকলে সমাজ থেকে ধর্ষণের মতো এই ব্যাধি কি কখনও দূর হবে?

প্রসঙ্গত দক্ষিণ কলকাতার কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ চত্বরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে (Kasba Case Report Bikash Bhawan)। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, বিকাশ ভবন ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছে।

ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে— কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বলয় থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত বড়সড় অপরাধ সংঘটিত হল? এমন গাফিলতির দায় কে নেবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জবাবদিহি।

উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন ভয়াবহ ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করা প্রয়োজন কি না, তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।