ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ জুন : কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত যখন এগোচ্ছে, ঠিক সেই সময় এক ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর ওই মন্তব্য দলীয় ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে—এই অভিযোগ তুলে তাঁকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে ওই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে (Madan Show Cause TMC)।

আইন কলেজের ছাত্রীকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগ দায়েরের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীটির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাসকদলের নেতানেত্রীসহ ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে এই ঘটনার নিন্দা করেন এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও অভিযোগকারিণীর সুবিচারের দাবি জানান।
কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র শুক্রবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্যাতিতা ছাত্রী সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে কেন ছিলেন। সংবেদনশীল ইস্যুতে এমন মন্তব্য ঘিরে স্বভাবতই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। বিষয়টি দলের নজরে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি শোকজ নোটিশে লেখেন, “আপনার অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় ও অসংবেদনশীল মন্তব্য দলের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পাশাপাশি, আপনার বক্তব্য দলের অবস্থানের পরিপন্থী।” দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কসবার ঘটনার পর তৃণমূলের দুই নেতা মদন মিত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সেই মন্তব্যগুলির তীব্র সমালোচনা করে একটি পোস্ট করে। ওই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন দুই নেতা। এরপর রবিবার দুপুরে মদন মিত্রকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয় দলের তরফে।