Madhyamgram Blast Update : মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! টার্গেট ছিল প্রেমিকার স্বামী?
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ অগাস্ট : মধ্যমগ্রামের বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়া তথ্য। তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং বিস্ফোরণে নিহত সচ্চিদানন্দ মিশ্র খুনের উদ্দেশ্যে বারাণসী থেকে কলকাতায় এসেছিলেন (Madhyamgram Blast Update)।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মৃতার স্বামীকেই হত্যার লক্ষ্য ছিল তাঁর। সম্ভবত সেই উদ্দেশ্যেই সচ্চিদানন্দ কলকাতায় এসেছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই তাঁর নিজের ব্যাগে থাকা বিস্ফোরকই ফেটে যায়, এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। তদন্তে উঠে আসছে সম্পর্কের জটিল সমীকরণও। ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে মঙ্গলবার পুলিশ সচ্চিদানন্দের প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
তদন্তকারীদের মতে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসা থেকেই বিস্ফোরণ ও সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টার ছক কষা হয়েছিল। তবে পুরো ঘটনাটির পেছনে অন্য কোনও মদত বা ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণকাণ্ডে বারাসত জেলা পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্র ট্রেনেই বারাণসী থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। সঙ্গে ছিল বিস্ফোরকও।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধরা পড়ার ভয়েই চেনা বা সরাসরি রুট এড়িয়ে ঘুরপথে এসেছিলেন তিনি। সম্ভাব্য রুট হতে পারে—বারাণসী থেকে হাওড়া কিংবা হাওড়ার আশপাশের কোনও স্টেশনে নেমে সোজা পৌঁছে যান মধ্যমগ্রামে। ঘটনাটি ঘটে ১৬ আগস্ট।
মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণের নেপথ্যে সম্পর্কের জটিল সমীকরণ ক্রমশ সামনে আসছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্র। প্রাথমিক অনুমান, সেই মহিলার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যেই বারাণসী থেকে বিস্ফোরক নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।
তবে কেন হঠাৎ এমন চরম সিদ্ধান্ত? কী এমন ঘটেছিল যে খুনই হয়ে উঠল একমাত্র উপায়? এখনও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অধরা।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রেমিকার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সেই কারণেই হয়তো সচ্চিদানন্দ খুনের ছক কষেছিলেন। এই সম্ভাবনা যাচাই করতেই ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছেছেন মৃত সচ্চিদানন্দের বাবা অশ্বিনীকুমার মিশ্র। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ছেলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারণা ছিল না। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হত, কিন্তু প্রেমঘটিত বিষয় বা কলকাতায় আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তিনি।
ছেলেকে এমন বিস্ফোরণে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন শোকস্তব্ধ বাবা। পুলিশের তদন্তে এখন মূল লক্ষ্য—এই ‘মিশন’-এর নেপথ্যে আসল মোটিভ কী এবং কারা এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।