Maheshtala News Update:তপ্তকুণ্ড মহেশতলা, গ্রেফতার একাধিক,বিরোধী দলনেতার চিঠি ডিজিকে

20

ডিজিটাল ডেস্ক ১২ জুনঃ মহেশতলা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য তোলপাড়। এর মধ্যেই কাল অর্থাৎ বুধবার ফের উতপ্ত হয়ে ওঠে মহেশতলা চত্বর। দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অগ্নিকুণ্ড হয়ে ওঠে ঐ এলাকা। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় পুরো এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। ঘটনায় জখম পুলিশের একাধিক আধিকারিক ও কর্মী। এরপরই এলাকার দখল নেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে ,মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং ডায়মন্ড হারবারের এসপিকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শুভেন্দু বলেন, “এর আগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ধুলিয়ানে পুলিশ আমাদের অনুমতি দেয়নি। এক্ষেত্রে অনুমতি না দিলে অলআউট প্রতিবাদে যাব।”মহেশতলার ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দুপুর একটায় রাজ্যপালের কাছে যাবেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানান, এ ব্যাপারে আদালতেও যাওয়া হবে। চিঠিতে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, এলাকার আক্রান্তদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যেতে চান। তিনি একজন বিধায়ককে নিয়ে ওই এলাকায় যেতে চান। এ ব্যাপারে তাঁকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হোক(Maheshtala News Update)।

বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকায় পুলিশি টহল চলেছে। বুধবারের ঘটনার জেরে এদিন এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারের ঘটনায় মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। অশান্তি সৃষ্টি এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২জনকে কলকাতা পুলিশ এবং ২৮জনকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আজ আদালতে হাজির করানো হবে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। বিরোধী দলনেতা ঘটনাস্থলে গেলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। তাছাড়া এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা (অতীতে যা ১৪৪ ধারা ছিল) জারি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও ধরনের জমায়েত করা যাবে না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বুধবার মহেশতলায় গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে উন্মত্ত জনতা। তাতে জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। এদের মধ্যে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর আঘাত গুরুতর।

মহেশতলার ঘটনা নিয়ে বুধবার সন্ধেয় দুঃখপ্রকাশ করেন কুণাল ঘোষ। ‘দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে এক্ষেত্রে পুলিশের দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেন। বলেন, ‘কখনও কখনও এ ধরনের ঘটনা হয়, পুলিশ প্রশাসন যতেষ্ট সংবেদনশীলতার সঙ্গে কড়া মনোভাব নিয়ে গোটা বিষয়টা দেখছে। পুলিশ আধিকারিক জখম হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন এখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। এমন কিছু করেনি যাতে পরিস্থিতি আরও বেড়ে যায় বা জটিল হয়ে যায়।’

এই সূত্র ধরে, রাজনৈতিক কুশীলবদের বক্তব্য রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ কোন ঘটনা বা পরিস্থিতি সামাল দিতে। গোটা ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা দেখছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মহেশতলার ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।