কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: নেতাজি ইন্ডোরে মোয়াজ্জেন, ইমামদের ওয়াকফ মিটিংয়ে একাধিক ধর্মের প্রতিনিধিদের পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন। অন্যদিকে যাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তাঁদের বাংলার আবাস প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতা বলেন, তার মতে তিনি কোনও সম্প্রদায় হিসেবে দেখেন না, মানুষ হিসেবে দেখেন। যারা মারা গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা করে দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁদের সবাইকে বাংলার বাড়ি করে দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। যাঁদের দোকান নষ্ট হয়েছে তার হিসাব-নিকেশ করে মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করবেন বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি অশান্ত মুর্শিদাবাদ এই পরিস্থিতিতে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মুয়াজ্জেনদের সমাবেশে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে লড়াই-এর পথ এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে এদিন বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের কথা বলে ক্ষোভের সুরেই বলেন, বিএসএফও গুলি চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধেও অ্যাকশন হবে। চিফ সেক্রেটারিকে বলা হয়েছে এর তদন্ত রিপোর্ট হওয়া উচিত বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। শীতলকুচিতেও গুলি চালিয়ে এরা চারজনকে মেরেছিল বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইউনূসের সঙ্গে গোপন মিটিং করছেন। এতে দেশের ভালো হলে খুশি হব? কিন্তু আপনার প্ল্যানটা কী? কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র বলছে, এতে বাংলাদেশের হাত রয়েছে। BSF তো কেন্দ্রের হাতে। রাজ্যের হাতে সীমান্ত সামলানোর দায়ভার নেই। আপনারা বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এটা প্রি প্ল্যানড।’