ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরে প্রবেশের আগে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ ও ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের আগে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে সম্প্রীতির বার্তা দেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতা ও সেলেব-শিল্পপতিদের সমর্থন পেয়েছেন, এবং তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান। সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্ম, আদ্যাপীঠের মহারাজ, স্বামীজির বাড়ি, বেলুড় মঠ, জয়রামবাটি, কামারপুকুর, কালীঘাট, ইসকন ও পুরীর দ্বৈতপতিসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তিন বছর ধরে চলা কাজের সফল সমাপ্তির জন্য তিনি হিডকোর সকলকে অভিনন্দন জানান এবং যাঁরা এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, মন্দির চত্বরে ৫০০-র বেশি গাছ লাগানো হয়েছে, যা এক দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। এই মন্দির যুগ যুগ ধরে তীর্থস্থানের পাশাপাশি পর্যটনের আকর্ষণ হিসেবে সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদী। সকলকে মন্দিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলেই প্রসাদ গ্রহণ করতে পারবেন। গজা, প্যারা, খাজার দোকান তৈরি হচ্ছে এবং মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ সারা বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, গোটা দেশের ভক্তদের বাড়িতেও তা পাঠানো হবে। ইসকন প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করবে। বিশ্বশান্তির কামনা করে মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেন।
গত কয়েকদিন ধরে সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় রীতি মেনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। কলসযাত্রার পর মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ মন্দির দ্বারোদ্ঘাটনের শুভক্ষণে দিঘায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দেব, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচি, শ্রীকান্ত মোহতা, অরিন্দম শীল এবং নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। টেলিভিশন জগতের তারকারাও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন, দেখা যায় দেবলীনা কুমার ও ভিভান ঘোষকেও। অনুষ্ঠান পর্ব শেষে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে তিনি বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের ফলপট্টিতে যেতে পারেন।
Comments are closed.