Mamata Banerjee on Khidirpur Fire : খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ডে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ জুন : খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee on Khidirpur Fire)। সোমবার বিধানসভা থেকে সরাসরি খিদিরপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি খরচে বাজার পুনর্গঠনের উদ্যোগ এবং আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য সরকার নতুন করে বাজার নির্মাণ করবে, যেখানে ব্যবসায়ীদের কোনও খরচ বহন করতে হবে না। কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরি এই বাজারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। নতুন বাজার তৈরির আগ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী বিকল্পের ব্যবস্থা করা হবে। সম্পূর্ণ দোকান পুড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ১ লক্ষ টাকা, আর আংশিক ক্ষতির ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে রাজ্য। ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে। পাশাপাশি, অগ্নিদগ্ধ এলাকায় আপাতত ব্যারিকেড বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবিবার রাত ১টা নাগাদ খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের তেল ও মাখনের গুদাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, একের পর এক দোকান ও গুদামেও তা বিস্তার লাভ করে। দমকলকে খবর দেওয়া হলেও, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অনুযায়ী, তৎক্ষণাত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি তারা। অভিযোগ উঠেছে, ওয়াটগঞ্জ থানায় ফোন করা হলেও কেউ তা ধরেননি। এরপর ব্যবসায়ীরা ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন, যার প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। তবে ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দমকলের কাছে পর্যাপ্ত জল ছিল না, যার ফলে গঙ্গা থেকে জল সংগ্রহ করে বেশ কিছু সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবার পর্যন্তও কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার রয়ে গেছে।

বহু প্রাচীন খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে দামী মশলা, ফল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান ছিল। রবিবার রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৩০০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, যদি দমকল সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নিত, তবে ক্ষতির পরিমাণ এত ভয়াবহ হত না। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি দমকলের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ নস্যাৎ করে জানান, দমকল খবর পাওয়ামাত্রই কাজ শুরু করেছে। তবে অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটের আশপাশের এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায়, আগুনের উৎসস্থলের কাছে পৌঁছতে দমকল কর্মীদের বিশেষ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখনও স্পষ্ট নয় ঠিক কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করে রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।