Mamata Banerjee Sitala Pujo : ভবানীপুরে শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৮ মে : ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়ার শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে পুজোর ডালি হাতে মন্দিরে প্রবেশ করেন তিনি। মন্দিরের বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করেন, তারপর ধীরে ধীরে ভিতরে প্রবেশ করেন। পুজোর ডালিতে ছিল একটি লাল টুকটুকে শাড়ি-সহ আরও নানা উপহার। মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে এসেছেন—এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দির চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন। শীতলা মায়ের আশীর্বাদ গ্রহণ করে সকলের মঙ্গল কামনা করেন তিনি (Mamata Banerjee Sitala Pujo)।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেই সময় মঞ্চে তাঁর পাশে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, যিনি একসময় এই এলাকায় বসবাস করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কিছুটা স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “এই এলাকায় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল তৈরি করেছি। কলেজে পড়ার সময় যে স্কুলে পড়াতাম, সেই স্কুলের স্মৃতি আজও মনে আছে।” তিনি আরও বলেন, “এই পাড়ার অলিগলি আমার নখদর্পণে। এখানকার প্রতিটি জায়গা আমার খুব পরিচিত।” স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” এদিনও সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রত্যেক পাড়ায় শীতলা পুজো হয়। সেই দিন বাড়িতে রান্না করা হয় না, আগের দিনই রান্না করে রাখা হয়। মা শীতলা সকলকে ঠান্ডা রাখেন, সুস্থ রাখেন এবং শান্তির বার্তা বহন করেন।” তিনি আরও বলেন, “বাংলায় এমন কোনও পাড়া নেই যেখানে মা শীতলার পরিচিতি নেই। আমাদের দেশে সব ধর্মবর্ণের মানুষ একসঙ্গে বাস করেন। একেকটি রাজ্যের একেকটি ভাষা, প্রত্যেকটি জেলা ও অঞ্চল নিজস্বতা নিয়ে চলে। নানারকম পুজো ও পার্বণ লেগেই থাকে।” এই বৈচিত্র্যের মধ্যেই সম্প্রীতির সৌন্দর্য নিহিত রয়েছে।

দেবীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থনা—”মাগো, সকলকে ঠান্ডা রেখো, শান্ত রেখো। যেন দুরারোগ্য ব্যাধি কারও জীবন কেড়ে না নেয়। সকলের কল্যাণ করো।” তিনি বলেন, “আমরা শুধু মায়ের কাছে চাইব, কিন্তু তাঁর জন্য কিছু ভাবব না—তা হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “মনে রাখবেন, মা মানে ধর্ম। ধর্ম মানে সুশিক্ষা। ধর্ম মানুষকে আপন করে নেয়, কাউকে ফিরিয়ে দেয় না।”