Mamata Condolence For Kashmir Disaster : বৈষ্ণোদেবী যাত্রায় পূণ্যার্থীদের মৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথে ভূমিধসের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন, বহু মানুষ আহত। বিপর্যস্ত ভূস্বর্গে চলছে উদ্ধারকার্য। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Condolence For Kashmir Disaster। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তায় তিনি লেখেন, “এত মানুষের প্রাণহানিতে গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন—মা বৈষ্ণোদেবীর কাছে এই প্রার্থনাই করি।”
ভূমিধসের ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির মাঝেও বুধবার থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। শুধু বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথই নয়, টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা জম্মু ও কাশ্মীর। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বার্তায় তিনি লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিশেষত বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথে ভূমিধস আমাদের অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করেছে। সেখানকার বাসিন্দা ও তীর্থযাত্রীদের প্রতি রইল আমার সহমর্মিতা।”
মঙ্গলবার দুপুরে বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথের অর্ধকুয়ারি এলাকায় ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হঠাৎই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বিশাল পাথর ও বোল্ডার গড়িয়ে পড়ে তীব্র ধস নামে। এর জেরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। অনেকেই ধসের নিচে চাপা পড়ে যান।
প্রথমে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিললেও বুধবার সকালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১। আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে এক্স-এ বিবৃতি দিয়েছে বৈষ্ণোদেবী তীর্থ কর্তৃপক্ষও। পরিস্থিতি বিবেচনায় বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্কের পরিবেশ। মঙ্গলবার কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। তার পরই ডোডা জেলায় নামে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি। প্রবল বর্ষণের জেরে হঠাৎই সৃষ্টি হয় হড়পা বান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাউই নদীর জল বিপজ্জনক হারে বেড়ে চলেছে বলে প্রশাসনের উদ্বেগ।
পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক হয়ে উঠেছে যে ভূমিধসের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নদীর জল বইছে বিপদসীমার অনেক ওপরে। আবহাওয়া অফিসের আশঙ্কা, রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। সেই কারণেই জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ধসপ্রবণ এলাকাগুলি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে।