ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ জুলাই : নীতি আয়োগের বার্ষিক প্রতিবেদনের প্রচ্ছদে ঘটে গেল বড় ধরনের বিভ্রাট। বিহারের জায়গায় দেখানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে—অর্থাৎ বিহারকে ভুলবশত তুলে ধরা হয়েছে বাংলা হিসেবে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata On Niti Aayog Map)। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, এটি কোনও অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শনের উদাহরণ। তিনি অভিযোগ করেন, এই ধরনের ভুল রাজ্যের আত্মসম্মানে আঘাত এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।
নীতি আয়োগ, যা কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের সর্বোচ্চ মঞ্চ, তার বার্ষিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের ভুলের সম্মুখীন হয়েছে। বাংলা নিয়ে প্রকাশিত নীতি আয়োগের রিপোর্টের প্রচ্ছদে বাংলাকে ভুলবশত বিহারের জায়গায় দেখানো হয়েছে। এই ‘বিভ্রাট’কে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারপার্সনকে চিঠি লিখে অবিলম্বে এই ভুল সংশোধনের দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, নীতি আয়োগের মতো প্রভাবশালী সংস্থার এমন ভুল তাদের গ্রহণযোগ্যতার ওপর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের শীর্ষ নীতি নির্ধারক সংস্থার সরকারি নথিতে এমন ভুল অনিচ্ছাকৃত বা প্রযুক্তিগত ভুল হতে পারে না। এটি আসলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতি একটি স্পষ্ট অসম্মানের প্রকাশ। নীতি আয়োগের নথিতে এই ধরনের মহাবিভ্রান্তিকর তথ্য সংস্থার অধ্যবসায় এবং রাজ্যগুলোর প্রতি সম্মানের অভাবের প্রমাণ।” তিনি সরাসরি নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেন, “এই ভুল নীতি আয়োগের কাজের ধরণ নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। যেসব সংস্থার ওপর নাগরিক এবং নীতি নির্ধারকরা নীতি প্রণয়নের জন্য নির্ভর করেন, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও এবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। নীতি আয়োগের রিপোর্টগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও সন্দেহের খাতায় পড়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি দাবি করেন, নীতি আয়োগকে অবিলম্বে এই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং ত্রুটিটি দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। একাধিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হননি তিনি। এবার নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তিনি বড়সড় প্রশ্ন তুললেন।