ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ জুন : মাওবাদী বিরোধী অভিযানে আবারও সফলতা পেল নিরাপত্তাবাহিনী (Mao Encounter)। ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় সংঘর্ষের ফলে নিহত হয়েছে দুই শীর্ষ মাওবাদী নেতা, যাদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। বুধবার রাতে পুলিশ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার পুসগুন্না জঙ্গলে পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) যৌথ অভিযান চালায়। খবর ছিল, ওই এলাকায় দু’জন শীর্ষ মাওবাদী নেতা লুকিয়ে রয়েছেন। সেই অনুযায়ী এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। পিছনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাওবাদীরা নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর দুই মাও নেতা নিহত হন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন লোকাল অরগানাইজিং স্কোয়াডের (এলওএস) কমান্ডার ছিলেন, যার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক।
২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডসহ মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে অভিযান তীব্র হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি অঞ্চল বর্তমানে মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি।
এই এলাকায় মাওবাদীদের ভিত্তি দুর্বল করতে ৩ হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে ২১ এপ্রিল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩১ জনেরও বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাওবাদী নিধনের জন্য প্রায় ২০ হাজার যৌথ বাহিনী নামানো হয়েছে।
অভিযানের সাফল্যের মধ্যে রয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুর নিহত হওয়া, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরও মারা গেছেন। অভিযান এখনও চলছে, এবং সরকার মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নির্মূল করার পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে।