ডিজিটাল ডেস্ক ৩০শে জুলাইঃ বৃষ্টির কারণে সব সবজির দাম উর্ধ্বমুখী । করলা, কাঁকরোল,বেগুন,বরবটিসহ অধিকাংশ সবজির কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে। দেশি টমেটো এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ভোজ্য সর্ষের তেলের দাম। আমদানি করা টমেটোর দাম বেশি, প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা। একটানা বৃষ্টি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ,রসুন,আদা, আলু বাঙ্গালির নিত্য পণ্যের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। বিভিন্ন খুচরো বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান,বাজারে এখন দেশে উৎপাদিত কাঁচা লঙ্কার জোগান কিছুটা কম। এই সুযোগে সরবরাহ বেড়েছে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচের। জোগান কম থাকার ফলে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পিছনের একটি কারণ(Market Price)।
মাস দেড়েক আগে বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছিল। এখনো সে দামেই বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বিক্রেতারা জানান,পাইকারি বাজারে মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ কারণে দাম বাড়তি। তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে ট্রে ডিমের দাম এখন – ১৬৩ টাকা। ডিম ৫.৪৫ টাকা প্রতি।
আজ কলকাতায় পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০৫.৪১ টাকা, গতকালের তুলনায় পেট্রলের দাম পরিবর্তিত হয়েছে ০.০০ শতাংশ। অন্য দিকে,আজ ডিজ়েলের দাম প্রতি লিটারে ৯২.০২ টাকা। ডিজ়েলের দামের পরিবর্তন হয়েছে ০.০০ শতাংশ। পাশাপাশি এ দিন কলকাতায় ১৪.২ কিলো রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৮৭৯ টাকা । ব্যবসায়িক গ্যাসের দাম কলকাতায় ১৯ কেজির দামে পরিবর্তন,১৮০২,৫০ টাকা।
আলু – ৩৫-৩৮ টাকা , চাল – ৬০ টাকা , সর্ষেরতেল – ১৮৫.৩টাকা
পটল – ৫০-৬০ টাকা , মুগডাল – ১০০-১২০ টাকা , পামতেল – ১৪৭.৮৩ টাকা
পেঁয়াজ –৩৬-৪০টাকা , মুসুরডাল – ৯০-১১০ টাকা , সয়াবিনতেল – ৯৮.৮১ টাকা
ঢেঁড়স –৫৫-৬০ টাকা , মাছ – ২০০-২৫০ টাকা , সূর্যমুখীতেল – ১২৬.৬৫ টাকা
লেবু – ৬-১০ টাকা , মাংস – ১৫০-২০০ টাকা
সজনে –৯২-১০২ টাকা , কুমড়ো – ২৫-৩০ টাকা
সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় সবজি চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে জোগান কম রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল বলেন,’বর্ষার সময় চারিদিকে জল জমে গিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও বাজারে বাজারে পর্যাপ্ত মাল আছে না। যারা আনেছে তারা তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লোকাল চাষিদের লঙ্কা শেষ হয়ে গিয়েছে। বেলডাঙার লঙ্কাও প্রায় শেষ। বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে দাম কমবে। মাস খানের দাম একটু বেশিই থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে কমে যাবে। তবে, মাল যদি কম আসে তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে নানা মহলের ।