Market Price Upadte:বাজারদর সহ রেপো রেটের খুঁটিনাটি এক নজরে

8

ডিজিটাল ডেস্ক ৭ জুনঃ বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে প্রতিনিয়ত আকাশ ছোঁয়া বাড়ছে, ভোজ্য তেল-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে যেখানে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের। এমনকি, হু হু করে বাড়ছে জিনিসের দাম-
আলু-৩০-৩৫ টাকা ,
পেয়াজ-২৫-৩৫ টাকা
সজনে- ৯০-১১০ টাকা
পটল-৩৫-৪৫,
লেবু-৬-১০ টাকা,
ঢেঁড়স – ৩০-৪০ টাকা,
কুমড়ো- ২০-২৫ টাকা
মাছ –
মাংস –
চাল – ৬৫ টাকা
মুগডাল – ৯০ ১২০ টাকা
মুসুরডাল – ৯০- ১১০ টাকা(Market Price Upadte)
বাড়ি-গাড়ির ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার আরও কমতে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শুক্রবার রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ঘোষণা করার পর থেকে মধ্যবিত্ত পরিসরে এটাই সবচেয়ে বড় চর্চা। আশা একটাই ইএমআই কমবে। নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণা কিন্তু কিছুটা অপ্রত্যাশিতই। রেপো কমবে, সে ব্যাপারে সব মহলই প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু একেবারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট প্রত্যাশার তুলনায় বেশি। চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বার। সাধারণত রেপো রেট বেশি হলে ব্যাঙ্ক ঋণের উপর সুদের হার বেশি হয়। আর কমে গেলে ব্যাঙ্কগুলি লোনের উপর সুদের হার কমায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানো হয়েছিল। প্রায় তিন বছর পর। তখনই আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা আভাস দিয়েছিলেন, আরও কমতে পারে রেপো। এদিন ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমে যাওয়ায় বর্তমানে রেপো রেট হল ৫.৫ শতাংশ। কেন এক ধাক্কায় রেপো এতটা কমানো হল? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে। এমনকী চলতি অর্থবর্ষের শেষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের কম হবে বলেও আশা নীতি নির্ধারণ কমিটির। পাশাপাশি খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার মে মাসে ৩ শতাংশের নীচে নামার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

২০২২ সালের মে মাস থেকে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল রেপো রেট। ৪ শতাংশ থেকে বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছে যায় ৬.৫ শতাংশে। তারপর আর কমেনি। মোদি সরকার বারংবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তৎকালীন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো কমাননি। তিনি অবসর নেওয়ার পর শুধু যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে বদল হয়েছে তাই নয়। নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য হয়ে এসেছেন নতুন মুখ। তারপরই দেখা যাচ্ছে, রেপো রেট কমছে। বারবার। ভবিষ্যতে আরও কমবে রেপো রেট। বস্তুত ৪ শতাংশের কোঠায় রেপো রেট নিয়ে আসতে চায় বর্তমান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মনে করা হচ্ছে, রিয়েল এস্টেট সেক্টরকে জোরদার উৎসাহ দেওয়া অন্যতম উদ্দেশ্য। দীর্ঘ তিন বছর পর কিছুটা স্বস্তি ঋণগ্রহীতাদের। অন্যদিকে অবশ্য ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারও পাল্লা দিয়ে কমে যাবে। সুতরাং ঋণ গ্রহণকারীদের কাছে যেমন রেপো রেট কমে যাওয়া সুসংবাদ, ঠিক তেমনই দুঃসংবাদ এফডির সুদের উপর নির্ভরশীল মানুষদের জন্য।