ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : মেঘালয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। রাজ্যে ৪,০০০ টনেরও বেশি কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্ট সরকারকে ভর্ৎসনা করার পর, সেই তথ্যকেই ব্যবহার করলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
আদালতের প্রশ্নে মন্ত্রীর উত্তর ছিল: রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কয়লা ভেসে যেতে পারে। তবে, আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে রাজাজু এবং ডিয়েংগান গ্রাম থেকে উধাও হওয়া কয়লার মজুদের উপর নজরদারি রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
তবে আবগারি মন্ত্রী কিরমেন শিলার মন্তব্যে দুর্নীতির জল্পনা শুরু হয়েছে। তার মন্তব্যে দুর্নীতি নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই, শিলার দাবি, তিনি কয়লা নিখোঁজের বিষয়টিকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন না। প্রাকৃতিক কারণে বা কোনও অবৈধ কার্যকলাপের কারণে কয়লা নিখোঁজ হয়েছে কিনা তার কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা এবং অনিয়ন্ত্রিত ও অসুরক্ষিত পরিকাঠামোর কারণে ২০১৪ সালে মেঘালয়ে কয়লা খনন ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে National Green Tribunal বা এনজিটি। বিপজ্জনক খনিতে জল দূষণ এবং ঘন ঘন নিরাপত্তা ত্রুটির অভিযোগের পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে, চলতি বছরের শুরুতে, পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ে প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা খননের কাজ শুরু হয়েছিল।
মেঘালয়ে ব্যাপকভাবে অবৈধ কয়লা খননের অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। তিনি বলেন, এই ধরনের দাবির পক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। এই ধরনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য একাধিক বিভাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রীর বিশ্বাস, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে অবৈধভাবে এই কয়লা খনন বা চুরির কাজ কেউ করতে পারে নইলে রাষ্ট্রের ক্ষতি কেউ করতে চায় না।
মেঘালয় সরকারে অন্যতম শরিক দল কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই অবিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি তৎপরতা দেখায়, এক্ষেত্রে কেন সেই তৎপরতা নেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।