Meghalaya Honeymoon Case : হানিমুন কাণ্ডের জের, মেঘালয়ে নাগরিক সুরক্ষা আইনে বদল আনছে সরকার

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুন : হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুনের ঘটনার পর মেঘালয় প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে (Meghalaya Honeymoon Case)। পর্যটকের ছদ্মবেশে অপরাধ প্রতিরোধে সরকার কঠোর হচ্ছে। সোহরার পর্যটন কেন্দ্রে মধ্যপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীর হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্যমন্ত্রিসভা মেঘালয়ের নাগরিক নিরাপত্তা আইন (MRSSA, 2016) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানান, আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা সুবিধা নিচ্ছে, যা বন্ধ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। পর্যটন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে চাই, অপরাধীরা যাতে কোনওভাবেই প্রবেশ করতে না পারে।”

আইনে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক –
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আইনের কাঠামো আরও কঠোর করা হবে, যাতে পর্যটনের নাম করে কেউ অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে মেঘালয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
হোটেল, হোমস্টে এবং রিসর্টে পর্যটকদের নাম রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হবে এবং সেই তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হবে।
বর্তমানে ব্যবহৃত ‘ট্যুরিস্ট মনিটরিং অ্যাপ’-এর প্রয়োগ এবার শতভাগ বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে পর্যটকদের চলাচল আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।

মন্ত্রী পল লিংডো জানিয়েছেন, “আমরা চাই মেঘালয় নিরাপদ থাকুক— নাগরিকদের জন্য এবং প্রকৃত পর্যটকদের জন্য। তবে যারা পর্যটনের নামে অন্য উদ্দেশ্যে আসছে, তাদের প্রতিরোধ করাই আমাদের লক্ষ্য।”

আইএলপি নিয়ে সরকারের অবস্থান –

মেঘালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইনার লাইন পারমিট (ILP) চালুর দাবি উঠছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পল লিংডো জানান, “রাজ্য বিধানসভা ইতোমধ্যেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিষয়টি এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিচারাধীন। তারা কিছু প্রশ্ন তুলেছে, যার উত্তর আমরা প্রদান করছি।”
কেন্দ্রীয় সরকার আশঙ্কা করছে যে মেঘালয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যাতায়াত হয়ে থাকে, তাই আইএলপি চালুর ফলে সেই চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।

বর্তমান আইন অনুসারে –
২০১৬ সালের মেঘালয় রেসিডেন্টস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী:

  • রাজ্যে প্রবেশকারী বহিরাগতদের তথ্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক।
  • পর্যটকদের থাকার জায়গায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  • পুলিশের পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
    তবে, সরকার স্বীকার করেছে যে এই আইন বাস্তবে পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। এবার তারা আইনটিকে আরও কার্যকর ও আধুনিক করার উদ্যোগ নিচ্ছে।