Meghalaya Honeymoon Murder Case : হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যারহস্য! শারীরিক সম্পর্কের জন্য দিয়েছিলেন অদ্ভুত শর্ত, বিয়ের পর বরকে ছুঁতে পর্যন্ত দেননি সোনম

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুন : ইন্দোরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সোনমকে নিয়ে মেঘালয় পুলিশ শিলং পৌঁছেছে। একইসঙ্গে, রাজ কুশওয়াহার চার সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে ইন্দোর থেকেও একটি পুলিশ দল শিলং রওনা দিয়েছে। তদন্তকারীরা সব অভিযুক্তকে একত্রে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। ইতিমধ্যেই সোনম সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা তদন্তে নতুন মোড় আনতে পারে (Meghalaya Honeymoon Murder Case)।

সূত্রের দাবি, সোনমের পরিবার জানত যে তাঁর রাজ কুশওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তবুও তাঁরা রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সোনম ও তাঁর মায়ের মধ্যে তীব্র বিবাদ হয়। পরবর্তীতে, সোনম রাজের সঙ্গে মিলিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে রাজাকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিয়ের পর সোনম রাজাকে ছুঁতেও দেননি, এমনকি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও রাজি হননি। সোনমের স্বামী রাজার বন্ধু আকাশ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, “রাজা আমাকে বলেছিল যে, সোনম তাঁকে জানিয়েছে—তাঁর একটি মানত রয়েছে, তাই কামাখ্যা দেবীর দর্শন না করা পর্যন্ত তাঁরা একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারবেন না। রাজা সোনমের কথায় বিশ্বাস করে তা মেনে নিয়েছিল।”

১৫ মে সোনম শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মায়ের বাড়িতে ফিরে যান এবং সেখান থেকেই স্বামীর হত্যার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন। এরপর তিনি গৌহাটির টিকিট বুক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে রাজের সঙ্গে থাকা তিনজন ভাড়াটে খুনি স্বীকার করেছে যে, সোনম ২২ মে শিলং পৌঁছেছিলেন, এবং সেদিনই রাজাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল।

রাজাকে খাদে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সোনম, সেলফি তোলার অজুহাত দেখিয়ে। তবে, বৃষ্টি ও অন্ধকারের কারণে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি, ফলে তাঁকে প্ল্যান বি-তে যেতে হয়। এরপর, পরের দিন রাজাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। ২২ মে হত্যার পর, ২৩ মে থেকে সোনম নিখোঁজ হয়ে যায়, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলছে।