Meghaloy Conspiracy Murder:মধুচন্দ্রিমায়, বরকে খুনের ছক বউয়ের,মেঘালয়ে

2

ডিজিটাল ডেস্ক ৯ জুনঃ নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায়, ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী খুনের কিনারা করল পুলিশ। সোমবার সকালে জানা যায়, এই ঘটনায় জড়িত তাঁরই স্ত্রী সোনম । তিনি মেঘালয় থেকে নিখোঁজ হন রাজার সঙ্গে। গ্রেফতার করা হল উত্তরপ্রদেশ থেকে। সোনম ছাড়াও এদিন আরও তিনজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, চাপের মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন সোনম। পরে জেরা করে আরও তথ্য হাতে পায় পুলিশ(Meghaloy Conspiracy Murder)।

জানা যাচ্ছে, হানিমুনে গিয়ে খুনের ছক আগেই কষেছিলেন ওই তরুণী। যেহেতু মাত্র কয়েকদিন আগেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের, তাই খুনের মোটিভ নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ইন্দোরের ওই তরুণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রাক্তন প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে বিয়ের পরও সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজার অমত থাকায় তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

পুলিশ জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে ২৪ বছরের সোনমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে এই হত্যার ছক কষে মধ্যপ্রদেশ থেকে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সোনম এবং রাজাকে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন এক স্থানীয় পর্যটক গাইড। এই তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ খুনের কিনারা করে।প্রথমে সোনমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গাজিপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেই এই খবর জানানো হয় ইন্দোর পুলিশকে। গাজিপুর পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সোনম সহ তিন ভাড়াটে খুনি। আরও একজন সন্দেহভাজন পলাতক। মেঘালয়ের পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল ইদাশিশা নংরাং সোমবার সকালে জানান, সোনম পরিকল্পনা করেই স্বামীকে হত্যার জন্য খুনি নিয়োগ করেছিলেন।ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশকে বাহবা জানিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মেঘালয় পুলিশ ৭ দিনের মধ্যেই এই মামলায় বড় সাফল্য পেয়েছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে তিনজন ভাড়াটে খুনি গ্রেফতার হয়েছে, ওই মহিলা আত্মসমর্পণ করেছেন। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। মেঘালয় পুলিশের কাজের প্রশংসা করছি।’